ইদানিং কালে বেড়েছে অ্যাসিডিটির সমস্যা। প্রচুর মানুষ ভুগছেনও গ্যাস-অম্বল-অ্যাসিডিটিতে। বাঙালিদের মধ্যে এই সমস্যা কিন্তু সবচাইতে বেশি। শুধুমাত্র বছরে গ্যাস,অ্যাসিডিটির চিকিৎসা করান লক্ষাধিক মানুষ। অনেক সময়ই পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে যায়। আর তাই আগে থেকেই সব মানুষ সতর্ক হতে পারলে ভাল।
অ্যাসিডিটির সমস্যার জন্য অনেকাংশে মানুষ নিজেই দায়ী। যে কোনও খাবার খাওয়ার পর খেয়াল রাখা উচিত তা ঠিকমতো হজম হল কিনা। সারাদিন এক জায়গায় শুয়ে বসে কাজ করলে কোনও খাবারই হজম হয় না সঙ্গে উড়ে এসে জুড়ে বসে আরও পাঁচটা সমস্যা। তাই আগে থেকে সতর্ক হতে পারলে সবচাইতে ভাল।
যে কারণে খাবার খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়তে মানা করা হয়। রোজ রোজ অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়ার উপরও থাকে নিষেধাজ্ঞা। কারণ এতে চাপ বাড়ে অন্ত্রের উপরেই। পাকস্থলিতে প্রাকৃতিক ভাবে থাকে বেশ কিছু অ্যাসিড। যা খাবারকে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। থাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু এনজাইম। যা হজমে সাহায্য করে।
খাবার পর ঢেকুর ওঠা স্বাভাবিক। কিন্তু রাতের দিকে মুখ, গলা শুকিয়ে যাওয়া, সকালে উঠেই মুখ টক হয়ে যাওয়া, চোঁয়া ঢেঁকুর ওঠা এসব অ্যাসিড রিফ্লাক্সের লক্ষণ। খাবার হজম না হলেই এই সমস্যা বেশি হয়। আর এই হজম না হওয়ার পিছনে দায়ী রাতের খাবার। ডিনারে এই সব খাবার খেলে সমস্যা হবেই।
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে পিৎজা, বার্গার বা চিজ জেওয়া কোনও খাবার। অনেকেই রাতে পিৎজা পার্টি করেন, চিজ দেওয়া রোল খান, ক্রিম-চিজ পাস্তা খান- এই সব খাবারই গুরুপাক এবং হজম হতে অনেক বেশি সময় লাগে। চিজ আর সসেজ, মাংস এসব একসঙ্গে থাকলে সমস্যা আরও বেশি হয়।
রাতে অ্যাসিডিটির অন্যতম কারণ হল দুধ। দুধ হজম করতে বেশি সময় লাগে। দুগ্ধজাত খাবার যেমন পায়েস, রসমালাই,ক্ষীর- এই সব খাবার থেকে অ্যাসিডিটি সবচেয়ে বেশি হয়। অনেকের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে। তারা যদি ভুল করে দুধ, মালাই, কুলফি খেয়ে ফেলে তাহলে তো কথাই নেই।
রাতে ভুলেও শাক খাওয়া উচিত নয়। শরীরের জন্য ভালশাক কিন্তু শাক হজম করতে অনেক সময় লেগে যায়। যাঁরা ইপিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে ভুগছেন তাঁদের শাক খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। শাকের মধ্যে থাকা ফাইবার অনেকেই হজম করতে পারেন না। আর শাক সব সময় অল্প পরিমাণে খেতে হয়। বেশি একেবারেই নয়।