মরসুম বদলের সময় ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশি, জ্বর হওয়াটা আজকের সমস্যা নয়। তবে আগেকার দিনে কথায় কথায় ডাক্তারের কাছে ছুটে যাওয়ার চল ছিল না। বরং সর্দি-কাশি-জ্বর হলে বাড়ির মা-ঠাকুমাদের টোটকাই কাজে দিত। আজকের দিনে অনেকেই আমরা বাড়ির মা-ঠাকুমাদের টোটকার উপর ভরসা রাখি না। অথচ পয়সা খরচা না করে কেবল রান্নাঘরে থাকা কিছু জিনিস দিয়েই কিন্তু হতে পারে সমস্যার সমাধান। বিশেষ করে এই মরসুম বদলের সময়।
ছিপছিপে মেদহীন চেহারা পেতে রোজের ডায়েট থেকে ঘি, মাখন বাদ দিয়েছে অনেকেই। কিন্তু আপনি কি জানেন এই ঘি পারে সর্দির সমস্যা থেকে নিমেষে মুক্তি দিতে। তবে ঘি খেতে হবে না। এক্ষেত্রে কাজ হবে ঘি নাকে লাগালেই। কী ভাবে? জানালেন স্তুতি আগরওয়াল। ইনস্টাগ্রাম ব্লগার স্তুতি একজন ‘মা’ও। তিনিই জানান, নাকের ছিদ্রে দুই ফোঁটা দেশি ঘি লাগালে সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
নিজের সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “আমার ছেলে অনেকদিন ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছিল। তখন বিখ্যাত ইএনটি, চিকিৎসক প্রবোধ কার্নিক প্রতিদিন নাকের ছিদ্রে দেশি ঘি লাগাতে বলেন। পরে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞও প্রিয়া প্রধান একই পরামর্শ দেন। আমি যখন আমার মাকে পুরো বিষয়টি জানাই,তিনি বলেন এটা বহু পুরনো টোটকা!”
কী ভাবে ঘি লাগালে মিলবে উপকার?
ঘি সামান্য গরম করে নিন (বেশি গরম না হয়)। এবার আঙুলের ডগায় খানিকটা ঘি নিয়ে তা নাকের ছিদ্রের মুখে লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন ২-৩ বার এই কাজ করলেই ফল মিলবে।
দেশি ঘি, প্রদাহ-বিরোধী ভেষজ হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ। দেশি ঘি অ্যালার্জির উপসর্গ যেমন নাক বন্ধ এবং চুলকানি কমাতে বেশ সাহায্য করে। নিয়মিত অ্যালার্জিতে ভুগলে এই টোটকা মেনে দেখতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে দেশি ঘি-এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।