হাঁটলে বা সাঁতার কাটলে আমাদের গোটা শরীরের ব্যায়াম হয়, আর সেই কারণেই আমাদের শরীর ভাল থাকে। একইসঙ্গে যদি প্রতিদিন আধ ঘণ্টা করে সাইকেল চালানো যায়, তবে আমাদের শরীর ভাল আর সুস্থ থাকে। সাইকেল চালানোর একাধিক উপকারিতা আছে, তার মধ্যে কয়েকটির কথা আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন।
সাইকেল যাঁরা চালাতে জানেন, তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন এই অভ্যেস ঠিক কতটা ভাল। যাঁরা সাইকেল চালাতে জানেন না তাঁরা তাড়াতাড়ি এই অভ্যাস শুরু করুন। সাইকেল চালানোর জন্য প্রথমেই প্রয়োজন ব্যালেন্সের। নিজের ও সাইকেলের ব্যালেন্স ঠিক ঠাক রাখতে পারলেই সাইকেল চালানো আরও সহজ হয়ে যাবে।
সাইকেল চালানোর কিছু উপকারিতা:
পায়ের পেশির জোর বাড়ে:
আপনি যদি প্রতিদিন সাইকেল চালান তবে আপনার পায়ের পেশিতে সবথেকে বেশি চাপ পড়ে। কারণ, সাইকেল চালালে মূল ব্যায়াম হয় পায়ের। তাই আপনি যদি নিয়মিত সাইকেল চালাতে পারেন পায়ের পেশি সচল থাকবে। পায়ের জোর বাড়বে। পায়ে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।
ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়বে:
দৌড়ানোর মতোই সাইকেল চালানোর জন্য আপনাকে পরিশ্রম করতে হয়। এবং তার জন্য আপনার শরীরে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া দ্রুত চলে। সেই জন্য নিয়মিত সাইকেল চালালে আপনার ফুসফুস ভাল থাকে ও কার্যক্ষমতা বাড়ে।
হার্ট ভাল থাকে:
যেহেতু সাইকেল চালালে শরীরে নিয়মিত পরিশ্রম হয়। তাই রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। শরীর পরিমাণ মতো অক্সিজেন পায়। এইদিকে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ে না। তাই স্বাভাবিক ভাবেই আপনার হার্টও ভাল থাকে। হৃদরোগের আশঙ্কা অনেকাংশেই কমে যায়।
মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে:
ব্যায়াম করলে আপনার মন নানারকম ভাবে ভাল থাকতে পারে। এন্ডোরফিনস ও অ্য়াড্রিনালিন হরমোন নিঃসৃত হলে আপনার আত্মবিশ্বাস আরও বেশি বেড়ে যায়। তখন নতুন ফিজিকাল গোলে পৌঁছাতে চাইবেন আপনি। সাইকেলিং একটা আউটডোর এক্সারসাইজ। YMCA-র একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা ব্যায়াম করেন না তাঁদের থেকে ৩২ শতাংশ বেশি ভাল থাকে যাঁরা ব্যায়াম করেন তাঁরা। নিয়মিত যাঁরা সাইকেল চালান, তাঁদের কাছে সাইকেল চালানো মেডিটেশনের মতো কাজ করে। মনসংযোগও বাড়ে।
এভাবেই সাইকেল আমাদের শারীরিক আর মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীর সুস্থ থাকলে মানসিক পরিকাঠামোও অনেকাংশে ভাল থাকে।
আরও পড়ুন: Ring Worm: দাদের সমস্যায় নাজেহাল হয়ে উঠেছেন? এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো মেনে চললে দাদের নিরাময় সম্ভব…