Diabetes and alcohol: ডায়াবেটিসের রোগী, এ দিকে রোজ নিয়ম করে বিয়ার না খেলে ঘুম হয় না?
Type 2 Diabetes: যাঁদের পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবেটিসের রয়েছে তাঁদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি
বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান ডায়াবেটিস। নিঃশব্দ ঘাতকের মতোই তা থাবা বসাচ্ছে সমাজের অন্দরে। প্রতিদিন নতুন করে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই তালিকায় যেমন ছোটরা রয়েছে তেমনই রয়েছে যুবরাও। তবে ডায়াবেটিসের কোনও স্থায়ী নিরাময় নেই। এমনকী এইরোগের সঠিক কারণও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ডায়াবেটিসের কোনও স্থায়ী নিরাময় নেই। ওষুধ, ডায়েট ইত্যাদির মাধ্যমে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন হরমোন তৈরি হয়। যখন এই হরমোন প্রয়োজনের তুলনায় কম উৎপন্ন হয় তখনই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। ডায়াবেটিসের জন্য অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা আর অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়াকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকেরা। সেই সঙ্গে শারীরিক কোনও পরিশ্রম নেই। যে পরিমাণ ক্যালোরির খাবার খাওয়া হয় তার পুরোটাই জমা হয়ে যায় শরীরে। আর তাই একমাত্র ডায়েটই পারে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
আর তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের খাবার ও পানীয়ের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিয়ার বা অ্যালকোহল আদৌ কি স্বাস্থ্যকর?
ডায়াবেটিসে ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যালকোহলে সুগার বাড়ে। বলা ভাল হাইসুগারের সম্ভাবনাই বেশি থাকে। অ্যালকোহল যে শুধুমাত্র সুগার বাড়ায় তাই নয়, সেই সঙ্গে ওজনও বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ বিয়ারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকে।
যাঁদের পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবেটিসের রয়েছে তাঁদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি। এছাড়াও যাঁদের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি তাদের ক্ষেত্রেও থেকে যায় ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা। আর তাই অ্যালকোহল খেলেও পরিমাণ ঠিক রেখে খান। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে ১৪ ইুনিটের বেশি বিয়ার খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। পুরুষ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে এই একই নিয়মই প্রযোজ্। সপ্তাহে তিনদিন বিয়ার খেলে প্রতিদিন ১ ক্যানের বেশি একেবারেই নয়।
অ্যালকোহল এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া
সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিন বা নির্দিষ্ট ডায়াবেটিসের ওষুধ যেমন সালফোনাইলুরাস ব্যবহার করলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর তাই যাঁদের রকিতে শর্করার মাত্রা কম থাকে হঠাৎ অ্যালকোহল খেলে সেই মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সেই সঙ্গে অ্যালকোহল লিভারের কার্যকারিতাকে বাধা দেয়। আর তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যালকোহল একেবারেই খাবেন না। এতে বাড়তে পারে বিপদ। সুগার যদি বাড়ার দিকে থাকে তাহলে তো একেবারেই নয়।
খালি পেটে অ্যালকোহল আরও ক্ষতিকারক
খালি পেটে বিয়ার বা অ্যালকোহল খেলে হুড়মুড়িয়ে বাড়তে থাকে সুগারের মাত্রা। আর তাই ভুলেও খালি পেটে অ্যালকোল নয়। প্রয়োজনে কিছু খাবার খেয়ে তারপর খান। খালি পেটে বিয়ার খেলে ২৪ ঘন্টা ধরে বাড়তে পারে সুগার। তাই এই ভুল একেবারেই নয়। সেই সঙ্গে আসতে পারে ওবেসিটির সমস্যাও।