Drinkig Water: খাবার খাওয়ার সময় কি আদৌ জল পান করা যায়? কী বলছেন পুষ্টিবিদরা?

Affects Digestion: খাবার খাওয়ার সময় বা খাবার খাওয়ার পরেই কি জল পান করা যায়? এভাবে জল পান করলে কি তা হজম প্রক্রিয়ায় বাধা তৈরি করতে পারে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

Drinkig Water: খাবার খাওয়ার সময় কি আদৌ জল পান করা যায়? কী বলছেন পুষ্টিবিদরা?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2022 | 4:53 PM

অনেকেরই ধারণা খাবার খাওয়ার সময় জল পান করা (Drinking Water) একেবারেই উচিত নয়। এমনকী খাবার খাওয়া শেষ হওয়ার পরমুহূর্তেও জল পান খাদ্য পরিপাকে বাধা তৈরি করতে পারে। কিছু লোকের ধারণা, খাদ্য গ্রহণের (Eating Foods) পর অন্তত আধঘণ্টা অপেক্ষা করে তারপরেই জল পান করা উচিত। মুশকিল এই কাজ করতে গিয়ে অনেকেই ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত জলপান করতে ভুলে যান। এর ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন (Dehydration)। সুতরাং প্রশ্ন হল খাবার খাওয়ার আগে, খাবার খাওয়ার সময় ও খাবার খাওয়ার পরে সত্যিই জল পান এড়ানো উচিত? পুষ্টিবিদরা বলছেন খাবার খাওয়ার আগে, খাবার খাওয়ার সময় ও খাদ্যগ্রহণের অবব্যবহিত পরে জল পানের সঙ্গে খাদ্য পরিপাকের সেভাবে কোনও বৈজ্ঞানিক সম্পর্ক নেই।

পুষ্টিবিদরা এও বলছেন যে অনেকের ধারণা খাবার খাওয়ার সময় বা খাদ্য গ্রহণের পরে জল পান করলে তা বিভিন্ন এনজাইমের ক্ষরণে বাধা তৈরি করে। তবে এখনও পর্যন্ত নানা গবেষণায় এই ধারণার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি।

আরও একটি যুক্তি হল, খাবার খাওয়ার সময়ে প্রচুর জলপান করলে তা হজমে সাহায্যও করে! অথচ জানলে অবাক হবেন রান্নার নানা পদ ও স্যালাডে প্রচুর পরিমাণে তরল থাকে। সনাতন রান্নায় ব্যবহৃত সবুজ শাকসব্জিতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। এছাড়া ডাল, ছাঁচের মতো খাদ্যবস্তুতেও থাকে অনেকখানি জল। তবে খাদ্যগ্রহণের পরে জল পান না করলে তা বরং ভালোর চাইতে ক্ষতি বেশি করতে পারে। কারণ সেক্ষেত্রে সারাদিনে জল পানের মাত্রা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেখান থেকে দেখা দিতে পারে জলশূন্যতা। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। হতে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যাও। কিডনি স্টোন, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হওয়ার ভয়ও দূর করা যায় না। তাই খাদ্য খাওয়ার পরে জল পান করুন। বেশি নয় কয়েক চুমক জল পান করা যেতেই পারে।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, সবচাইতে ভালো হয়, খাবার খাওয়ার অন্তত মিনিট পনেরো আগে একগ্লাস জল পান করতে পারলে। সেক্ষেত্রে জল পান করলে পেট ভর্তি হওয়ার অনুভূতি মিলবে। সেক্ষেত্রে বেশি মাত্রায় খাদ্যগ্রহণ করা যাবে না। শরীরে ক্যালোরিও বেশি ঢুকবে না। ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়া খাদ্যে স্যালাড ও শাকসব্জির মাত্রাও বাড়ানো যেতে পারে। শাকসব্জিতে তরল ছাড়াও থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজমে সাহায্য করে। এছাড়া সব্জির ফাইবার মল তৈরিতে সাহায্য করে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রাখে। অ্যাসিডিটির সমস্যাও খুব একটা হয় না। এছাড়া সব্জিতে থাকা ভিটামিন ও খনিজও শরীরে পক্ষে উপযোগী। এছাড়া শরীরে তরলের জোগান বজায় রাখার জন্য টিফিনে স্যুপও রাখতে পারেন। এছাড়া খেতে পারেন ডাল। তাতেও উপকার মিলবে।