Health Care Tips: আপনার জীবনে কি ঘুম খুবই ‘স্বার্থপর’? চিনে নিন দুই শত্রুকে

Sleep Problem: যদি রাতের পর রাত হতে থাকে? শারীরীক সমস্যা হওয়া তো সাধারণ ব্যাপার। মানসিক ভাবে অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর জন্য দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে কয়েকটা বিষয় মিলিয়ে দেখা যেতেই পারে। হয়তো চেনা যেতে পারে সেই শত্রুকে!

Health Care Tips: আপনার জীবনে কি ঘুম খুবই স্বার্থপর? চিনে নিন দুই শত্রুকে
Image Credit source: CANVA

Jan 09, 2025 | 2:27 AM

ঘুম আসে না, ঘুমও স্বার্থপর…। আপনার জীবনেও কি এই সমস্যা? হতে পারে এর শত্রু আপনার দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে। প্রত্যেকের জীবনে ঘুম অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এতে কাঁটছাঁট হলে সারাদিনের ছন্দটাই নষ্ট হয়ে যায়। আর এটা যদি রাতের পর রাত হতে থাকে? শারীরীক সমস্যা হওয়া তো সাধারণ ব্যাপার। মানসিক ভাবে অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর জন্য দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে কয়েকটা বিষয় মিলিয়ে দেখা যেতেই পারে। হয়তো চেনা যেতে পারে সেই শত্রুকে!

পেশাগত হেলথ সাইকোলজি নিয়ে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে- দৈনন্দিন জীবনের কিছু কাজ এই সমস্যার কারণ। ফলে এই ভুলগুলি উপলব্ধি করে শুধরে নেওয়াটাই যে বুদ্ধিমানের কাজ, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। এই গবেষণায় দুটো বিষয়কে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তা হল-সেডেনটারি ওয়ার্কিং এবং ওয়ার্কিং অড হাওরার।

সেডেনটারি ওয়ার্কিং- ডেস্ক জব। যাঁরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এক জায়গায় বসে দীর্ঘ সময় কাজ করে থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা বেশি হয়ে থাকে। মানসিক ভাবে পরিশ্রম হলেও শারীরীক কসরত খুব একটা হয় না। গবেষণায় ধরা পড়েছে, যাঁরা এমন কাজ করেন তাঁদের মধ্যে অনিদ্রার উপসর্গ বাড়তে থাকে। যাঁদের কাজের মধ্যে শারীরীক মুভমেন্ট থাকে তাঁদের এই সম্ভাবনা অন্তত ৩৭ শতাংশ কম।

ওয়ার্কিং অড আওয়ার: কাজের সময়টাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সকলের কাজের ধরণ কিংবা সময় এক হয় না। কেউ বা নিয়মিত একই সময়ে কাজ করেন। আবার অনেকের কাজের সময় পরিবর্তন হয়। হতে পারে, এক দিন সকালের শিফ্ট, আবার পরদিন নাইট শিফ্ট। কাজের এই সময় পরিবর্তন ঘুমের ক্ষেত্রেও বড় সমস্যা তৈরি করে।

এর থেকে বেরনোর উপায়?

চাকরি পরিবর্তনটা সবক্ষেত্রে সম্ভব নাই হতে পারে। কিন্তু অভ্যেস পরিবর্তন সম্ভব। ডেস্ক জব যাঁরা করেন, টানা এক জায়গায় দীর্ঘ সময় বসে না থেকে মাঝে মধ্যে উঠে অন্তত হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে। তেমনই কাজের ক্ষেত্রে একটা সীমাও থাকা উচিত। শিফ্ট শেষের পরও কাজে ডুবে না থাকাই শ্রেয়। কাজ এবং জীবনের একটা ভারসাম্য থাকা খুবই প্রয়োজন।