আজকাল অধিকাংশেরই কাজের চাপ বেশি সেই তুলনায় ঘুম একেবারেই হয় না। ঠিকমতো ঘুম না হলে সারাদিন একটা ক্লান্তি লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে বার বার হাই উঠতে থাকে। কিন্তু সারাদিনে কতবার হাই উঠল সেই হিসেব আমরা কেউই রাখি না।
আসলে এই হাই ওঠা খুব স্বাভাবিক একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। যার উপর আমাদের কোনও রকম নিয়ন্ত্রণ নেই। আমাদের ইচ্ছে হলেই যে হাই উঠবে এরম একেবারেই নয়।
হাই ওঠার নেপথ্যে আলাদা কোনও কারণ আছে কিনা সে বিষয়ে একেবারেই নিশ্চিত নন গবেষকরা। তবে একটা জিনিস ঠিক যে শরীর যদি মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্ত থাকে তাহলে কোনও কাজ করতে গেলেই শরীর হাঁপিয়ে ওঠে। আর তখনই হাই ওঠে। তবে সাধারণ এই হাই ওঠা নিয়েও কেন সতর্ক থাকতে হবে এই নিয়ে মনে একটা প্রশ্ন আসা খুবই স্বাভাবিক।
মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে যদি দিনের পর দিন রাতে ঘুম না হয় তাহলে হাই ওঠা খুবই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে হাতে সময় থাকতে সাবধান হন। শরীর সুস্থ রাখতে দিনে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম খুবই জরুরি। তাই যদি কোনও দিন ঘুম কম হয় তাহলে অন্য সময় ঘুমিয়ে তা মেকআপ করে নিন। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন ৭ ঘন্টা করে ঘুমোন।
ঘুম কম হতে থাকলে তখন স্লিপ অ্যাপনিয়ার সম্ভাবনা চলে আসে। সেখান থেকে প্রভাব পড়ে হার্টের উপরেও। তখন শ্বাস নিতে সমস্যা, বুকে চাপ লাগা এসব সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে সমস্যা ফেলে না রেখে দ্রুত একটা ইসিজি অবশ্যই করিয়ে নেবেন। সেই সঙ্গে চিকিৎসকেরও পরামর্শ নিন।
তবে স্নায়ুর কোনও রকম সমস্যা, লিভার ফেলিওর, ব্রেন টিউমার, স্ট্রোকের মত সমস্যায় অবশ্যই এই বার বার হাই উঠতে পারে। তাই আপাতত খুব স্বাভাবিক মনে হলেও এই বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। আবার রক্তচাপ হঠাৎ করে কমে গেলে সেখান থেকেও সমস্যা হতে পারে।
যদি সব ঠিক ঠাক থাকে, রোজ ভাল ঘুম হয় আর তারপরও আপনার শরীর ক্লান্ত থাকে, হাই ওঠে তাহলে সাবধানে থাকুন। যদি কোনও ওষুধ খাওয়ার পর এই সমস্যা হয় তাও কিন্তু ডাক্তারকে বলতে ভুলবেন না। এর পাশাপাশি স্ট্রেস কমাতে হবে। রোজ ২০ মিনিট করে মেডিটেশন করুন। পছন্দের মন্ত্র শুনুন, পাঠ করুন। এতে মনের দিক থেকে ভাল থাকবেন আর সুস্থও থাকবেন।