প্রায়শই বলা হয়, বাড়ির চেয়ে নিরাপদ কোনও জায়গা নেই। কথাটি কী আদৌও সত্যি? বাড়ির বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক ইত্যাদির সরঞ্জাম থাকে, যা থেকে স্বাস্থ্যের জন্য বেশ মারাত্মক কিছু হতে পারে। বাড়ির মধ্যেই রয়েছে বিপজ্জনক এমন কিছু যেগুলি স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ঠিক নয়, কিন্তু সেই জিনিসপত্র আবার নিয়মিত ব্যবহার করাও হয়। ফলে ক্ষতির হিসেবটা অনেক।
বাড়িতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা
এয়ার ফ্রেশনার- বাড়ির মধ্যে সুন্দর ফুলের গন্ধ বা চন্দনের গন্ধ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বাজারে রয়েছে বহু নামী-দামি এয়ার ফ্রেশনার। অন্দরের বাতাসকে সতেজ করে তোলার জন্য এয়ার ফ্রেশনারগুলি আমরা প্রায়ই ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই এয়ার ফ্রেশনারগুলিই স্বাস্থ্যর জন্য মারাত্মক। কারণ ফ্রেশনারের রয়েছে ইথানল, ফর্মালডিহাইড, বিটা-পিনিন ইত্যাদি যৌগ। যার ফলে মাথাব্যথা, ডার্মাটাইটিস, হাঁপানি ও আরও অনেক কিছু। শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে এগুলি।
টয়লেট ক্লিনার- এটি একটি অতিপরিচিত সরঞ্জাম। টয়লেট জীবাণুমুক্ত ও পরিস্কার করতে গিয়ে আমরা প্রায় প্রতি সপ্তাহেই টয়লেট ক্লিনার ব্যবহার করি। প্যানের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণু এবং একগুঁয়ে দাগ থেকে পরিত্রাণ পেতে শক্তিশালী রাসায়নিক ক্লিনার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, এই রাসায়নিকগুলি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কী কী বিপদ ডেকে আনতে পারে? টয়লেট ক্লিনারগুলিতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) এর মতো যৌগ থাকে, যার কারণে ত্বক ও চোখের জ্বালা ধরা, ত্বকে পুড়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদির কারণ হতে পারে। এটি খাওয়া হলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।
ফ্লেম প্রতিরোধক- সোফা সেট, গদি বা কার্পেটের মত কিছু গৃহস্থালির সামগ্রীতে ফ্লেম প্রতিরোধক রয়েছে। যেগুলি থেকে খুব তাড়াতাড়ি আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে, সেগুলির টেক্সটাইলগুলির প্রদাহের ঝুঁকি কমাতে ব্যবহৃত হয়। আগুন প্রতিরোধকগুলিতে বিষাক্ত রাসায়নিকগুলি স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যেমন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ক্যানসার, নিউরোলজিক্যাল ড্যামেজ ও অনেক কিছু হতে পারে।
নন-স্টিক কুকওয়্যার- অ্যালুমিনিয়াম বা কাঁসার থালা-বাসনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে একগুঁয়ে দাগ ওঠার পিছনে কেউই সময় ব্যয় করতে চান না এখন। তাই ঘরে ঘরে নন-স্টিকে কুকওয়্যারেক চল। রান্নার জিনিসের নীচে খাবার আটকে থাকার বিষয়ে কোনও রকম চিন্তা করার দরকার নেই। কিন্তু এই ননস্টিক কুকওয়্যার কি সত্যিই ব্যবহারযোগ্য? এর উপরে রয়েছে পলিটেট্রাফ্লুরোইথিলিনের প্রলেপ। যা টেফলন নামেও পরিচিত। ২৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় এই যৌগটি গলে গিয়ে বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিণত হয়, যা মাথাব্যাথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদির কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: Summer Food For Pets: এই গরমে আপনার পোষ্যও থাকুক ‘কুল’! ডায়েটে রাখুন এই ‘বিশেষ’ খাবার