Yoga Fart: যোগা ক্লাসে ‘বোমা’ ফাটাচ্ছেন! সকলের সামনে বাতকর্মের অস্বস্তি এড়াতে রইল সহজ টিপস

Tips to Avoid: যোগা ক্লাসে পেটের কোনও সমস্যা ছাড়াই সকলের সামনে বোমা ফাটলে ও দুর্গন্ধ বেরলে লজ্জায় পড়েন অনেকেই।

Yoga Fart: যোগা ক্লাসে 'বোমা' ফাটাচ্ছেন! সকলের সামনে বাতকর্মের অস্বস্তি এড়াতে রইল সহজ টিপস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2022 | 7:48 AM

যোগাসনের (Yoga) সময় বাতকর্ম (Farting) বেরলে তা অনেকের কাছেই অস্বস্তির বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তবে যোগা ক্লাসে (Yoga Class) ফার্ট হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এর ফলে শরীরে বাতাসের ভারসাম্য বজায় থাকে। স্বাস্থ্যকর পরিপাকতন্ত্রের দিকেই ইঙ্গিত করে ফার্টিং। তাছাড়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফার্ট-এর বেগ কখনওই ধারণ করা উচিত নয়। যোগার পোজের সময় পেটে চাপ পড়লে বোমার মত আওয়াজ করে বাতকর্ম বেরতেই পারে। তবে হ্যাঁ, কোনও গুরুতর পেটের গণ্ডগোলের কারণে ঘনঘন বায়ু বেরলে সতর্ক হন। শরীর সুস্থ না হওয়া অবধি যোগা প্র্যাকটিস করা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে যোগার সময় অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্সের সমস্যাও তৈরি হতে পারে। তবে হ্যাঁ, সুস্থ অবস্থায় যোগা করতে শুরু করলে পাচকতন্ত্র এমনিতেই ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে খাদ্য হজমও হয় দ্রুত। এমনকী বেশ কিছু যোগা রয়েছে যা পরিপাকতন্ত্রের সঙ্গে বিপাকক্রিয়ার হারও বাড়ায়। ফলে খাদ্য যেমন দ্রুত হজম হয় তেমনই চর্বিও ঝরে। তবে যোগা ক্লাসে পেটের কোনও সমস্যা ছাড়াই সকলের সামনে বোমা ফাটলে ও দুর্গন্ধ বেরলে লজ্জায় পড়েন অনেকেই।

প্রশ্ন হল এমন সমস্যা এড়াতে কী করবেন?

• খাবার খেয়ে যোগা করবেন না

যোগা সবসময়েই খালি পেটে করা উচিত। এমনকী খাবার খেলেও এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে তারপরেই যোগ করা উচিত। বিশেষ করে সকালের যোগা ক্লাসে যোগ দিতে হলে খালিপেটেই ক্লাসে ঢুকুন। কিংবা হালকা কিছু খেয়ে যান। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন তারপর যোগা শুরু করুন। তার ফলে খাদ্য হজম হওয়ার সময় পাবে। পরিপাকক্রিয়া শুরু হলে ফার্টজনিত সমস্যাও কম হবে।

• স্বাস্থ্যকর ও সহজপাচ্য খাদ্য

সকালের যোগা ক্লাসে ফার্ট-এর সমস্যা এড়াতে আর একটি কার্যকরী উপায় হল স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া। বিশেষ করে রাতে। বেশ কিছু খাদ্য আছে যা পেটে বেশি গ্যাস তৈরি করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে ব্রকোলি, এটা, দুধের তৈরি খাদ্যবস্তু, পাস্তা, আলু এবং সফট ড্রিংকস-এর কথা বলা যায়।

• খালি পেটে যোগা

সবচাইতে ভালো হয় খালি পেটে যোগা করতে পারলে। এই কারণেই সকালে যোগা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ সকালে সাধারণত মানুষ খালিপেটেই থাকেন।

• হজমের সমস্যা থাকলে যোগা নয়

অনেকরই ডায়ারিয়া, পেট ফ্যাঁপার সমস্যা হয়। এই সমস্যা নানা কারণে হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও দূষিত জলপান যার মধ্যে অন্যতম। গ্যাস্ট্রিক-এর সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা তাই আগে শরীরকে স্থিতাবস্থায় আসতে দিন। কারণ অ্যাসিডিটি ও বদহজমের সমস্যা থাকাকালীন যোগা করলে তা পরিপাকপাকতন্ত্রকে সাহায্য করার বদলে বাধা তৈরি করবে।

• জলপান

সারাদিনে আড়াই থেকে তিনলিটার জল পান করা উচিত। জল পানের অভ্যেস আমাদরে শরীরে জলশূন্যতা রোধ করে। এছাড়া হজমেও সাহায্য করে। ফলে ফার্ট-এর সমস্যাও দূরে থাকে।

• শাকসব্জি, ফল

প্রতিদিন শাকসব্জি ও ফল খাওয়ার অভ্যেস বজায় রাখুন। শাকসব্জি ও ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর সহজেই কোষ্ঠ সাফ হয়। ফার্ট-এর সমস্যাও দূরে থাকে।

• ডিনারের সময়

ডিনারের আদর্শ সময় রাত আটটা। তবে রাত দশটার মধ্যেও ডিনার সেরে ফেলা যায়। এর বেশি রাত করে ডিনার সারলে গ্যসের সমস্যা হবেই। ডিনার করার পরে বেশি রাত অবধি জেগে থাকবেন না।