AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kidney Disease Symptoms: আপনার কিডনিতে কি পাথর জমেছে? বলে দেবে প্রস্রাবের রং

Kidney Disease: কিডনি রক্ত থেকে টক্সিন ছেঁকে প্রস্রাব তৈরি করে। তাই প্রস্রাবের রঙ, গন্ধ, ঘনত্ব দেখে কিডনির স্বাস্থ্য সম্পর্কে আগাম ইঙ্গিত পেতে পারি। প্রস্রাবের সময় জ্বালাভাব সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। প্রস্রাব করতে কষ্ট হলে তা পুরুষদের প্রস্টেটের সমস্যা বা মহিলাদের মূত্রনালীর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

Kidney Disease Symptoms: আপনার কিডনিতে কি পাথর জমেছে? বলে দেবে প্রস্রাবের রং
| Updated on: Jul 15, 2025 | 6:37 PM
Share

প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তনকে জল খাওয়ার সমস্যা বলে এড়িয়ে গেলে কিন্তু বোকামো করবেন। প্রস্রাবের অস্বাভাবিক রং, বড় কিডনির সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

ইউরোলজিস্টদের মতে, প্রস্রাব সংক্রান্ত কিছু পরিবর্তন খুব তাড়াতাড়ি কিডনির সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। কিডনি আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত জল, টক্সিন এবং বিপাকজাত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। একজন সুস্থ ব্যক্তি দিনে ১.৫ থেকে ২ লিটার প্রস্রাব করেন।

কিডনি রক্ত থেকে টক্সিন ছেঁকে প্রস্রাব তৈরি করে। তাই প্রস্রাবের রঙ, গন্ধ, ঘনত্ব দেখে কিডনির স্বাস্থ্য সম্পর্কে আগাম ইঙ্গিত পেতে পারি। প্রস্রাবের সময় জ্বালাভাব সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। প্রস্রাব করতে কষ্ট হলে তা পুরুষদের প্রস্টেটের সমস্যা বা মহিলাদের মূত্রনালীর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

সাধারণ প্রস্রাব ফিকে হলুদ হয় এবং হালকা গন্ধ থাকে। ঘন গন্ধ বা গাঢ় হলুদ রঙ ডিহাইড্রেশনের ইঙ্গিত হতে পারে। প্রস্রাবে বাজে গন্ধ থাকলে তা সংক্রমণের লক্ষণ। প্রস্রাবে টিস্যুর টুকরো দেখা দিলে তা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে।

পিঠে ব্যথা, বমি, জ্বর, প্রস্রাবের রঙ বদল বা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ হতে পারে। অতিরিক্ত ক্লান্তি, শুষ্ক ত্বক, চোখের নিচে ফোলা, হাত বা পায়ে ফোলাভাব এসব কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার লক্ষণ।

এমনকি আপনি কতটা প্রস্রাব করছেন তাও গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্ষেত্রে ৩টি অবস্থা বিচার্য। পলিউরিয়া, অলিগুরিয়া এবং অ্যানুরিয়া। দিনে ৩০০০ মিলিলিটার বা তার বেশি প্রস্রাব করলে তা পলিউরিয়া। এটি ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। দিনে ৪০০ মিলিলিটারের কম প্রস্রাব করলে তা অলিগুরিয়া। এটি কিডনির ক্ষতি, ডিহাইড্রেশন, কিডনি স্টোন বা হৃদযন্ত্রের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে তা অ্যানুরিয়া। এটি বড় কিডনির ক্ষতি বা ইউরিনারি ট্র্যাকে পাথর জমার লক্ষণ হতে পারে।

প্রস্রাবে রক্ত থাকলে তাকে হিম্যাচুরিয়া বলা হয়। এটিও কিডনিতে পাথর, টিউমার বা সংক্রমণের কারণে হতে পারে। হিম্যাচুরিয়া হলে প্রায় ২৫% রোগীর ক্ষেত্রে কিডনি, মূত্রাশয় বা প্রস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ে।

অনেকে ভাবেন সাদা প্রস্রাব হচ্ছে মানে তা ভাল। কিন্তু বাস্তবে সাদা বা দুধের মতো প্রস্রাব হলে তাও গুরুতর ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবে পুঁজের উপস্থিতির কারণে হতে পারে। একটি কারণ হল কাইলুরিয়া, যেখানে খাওয়া চর্বি প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।

প্রস্রাবে ফেনা বা বাবল দেখা গেলে সেটি কিডনি ডিসফাংশনের প্রথম লক্ষণ হতে পারে। এটি প্রোটিনুরিয়া, অর্থাৎ প্রস্রাবে প্রোটিন চলে যাওয়ার কারণে হয়। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ইউরিন ইনফেকশন, কিডনি স্টোন বা ডিহাইড্রেশনের কারণে হতে পারে।

প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। রঙ, গন্ধ বা পরিমাণে সামান্য পরিবর্তনও হতে পারে কিডনির বড় সমস্যার প্রথম ইঙ্গিত। তাই কোনও পরিবর্তন দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।