Belly fat: হঠাৎ করেই মোটা হয়ে যাচ্ছেন? এর পিছনে আপনার কোনও বদ অভ্যাস দায়ী নয় তো!
বেশি চিনি, অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন আমাদের এই শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী, তেমনই ছোট ছোট বিষয় আছে যেগুলিকে আমরা এড়িয়ে যাই। এই ছোট ছোট অভ্যাস গুলিও আমাদের শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই এখনই সতর্ক না হলেই বিপদ।
ওবেসিটি বা স্থূলতা হচ্ছে এমন একটি সমস্যা, যা আপনার অজান্তেই শরীরে নিয়ে আসে একাধিক রোগ। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পিছনে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস মূলত দায়ী। কিন্তু এই কারণগুলির পিছনে রয়েছে ওবেসিটি বা স্থূলতা। অতিরিক্ত চর্বি বা ফ্যাট থেকে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি হয়, আসে রক্তচাপের সমস্যাও। আর ডায়বেটিসের ক্ষেত্রেও একই ভাবে দায়ী এই ওবেসিটি বা স্থূলতা।
বেশি চিনি, অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন আমাদের এই শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী, তেমনই ছোট ছোট বিষয় আছে যে গুলিকে আমরা এড়িয়ে যাই। এই ছোট ছোট অভ্যাস গুলিও আমাদের শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই এখনই সতর্ক না হলেই বিপদ।
বেশির ভাগ মানুষই এখন ধীর স্থির ভাবে খাদ্য গ্রহণ করেন না। তাড়ার মধ্যে কোনও রকমে খেয়ে বেরিয়ে যান। এতে শরীরে সম্পূর্ণ পুষ্টি পৌঁছায় না এবং তার সঙ্গে বদহজমের সমস্যাও দেখা দেয়। একই ভাবে অনেকেই হাঁটতে হাঁটতে বা দাঁড়িয়ে জল পান করেন। এটাও শরীরে একইভাবে ক্ষতি করে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, সোজা ভাবে বসে জল পান করলে সেই জল মস্তিষ্ক অবধি পৌঁছায়, যা শরীরের পক্ষে ভাল।
বিরিয়ানি হোক বা পিজ্জা- এই ধরনের খাদ্য গ্রহণ করার সঙ্গে অনেকেই সোডা জাতীয় কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া পছন্দ করেন। এই সম্পর্কে মানুষের প্রাথমিক ধারণা হল যে এই ধরনের সোডা গুলি খাদ্য হজমে সহায়তা করে। কিন্তু আমরা ভুলে যাই যে এতে চিনির পরিমাণ বেশি, যা পরবর্তীকালে আমাদের বেলি ফ্যাটে পরিণত হয়। এক গ্লাস এই সোডায় 39 গ্রাম চিনি থাকে যা ৭০% বেলি ফ্যাট বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
প্রোবায়োটিক্স এমন খাবারগুলিকে বোঝায় যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার মাত্রায় ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে, যার ফলে হজমনালী পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর থাকে। দইয়ের মতো খাবারগুলি প্রোবায়োটিক হিসাবে কাজ করে যা হজমের সমস্যাকে রোধ করতে সহায়তা করে। কিন্তু এই খাবারই পেটে চর্বি যুক্ত করতেও সাহায্য করে।
সময়ের অভাবে অনেকেই লাঞ্চ ও ডিনারের মত গুরুত্বপূর্ণ খাবার খান না। দীর্ঘ সময় খাবার না খেলে শরীরে হজমের সমস্যা সহ একাধিক রোগ দেখা দেয়। যার মধ্যে ওবেসিটিও রয়েছে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে শুরু করে ধীরে ধীরে। তাই এই ভুলটা কখনওই করবেন না। একই ভাবে এক সঙ্গে অনেকটা পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করবেন না, এতেও একই সমস্যা দেখা দেবে। বরং কম খাবার খান একাধিক সময়ে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর অল্প পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করতে থাকুন। এবং খাদ্য তালিকায় সমস্ত পুষ্টিকর খাদ্য ব্যালেন্স করে রাখুন। এতে সুস্থ থাকবে আপনার শরীর এবং পেটে জমবেও ফ্যাট।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকায় সঠিক তেল বেছে নেওয়া কেন জরুরি জানেন?