ফিট অ্যান্ড ফাইন থাকতে নতুন বছরের রেসোলিউশনে অবশ্যই থাকুক ‘পর্যাপ্ত ঘুম’

সারাদিন হাঁটাচলা-কাজকর্মের মধ্যে থাকুন। শরীরে পরিশ্রম হলে আপনাআপনিই ক্লান্তিতে ঘুম চলে আসবে।

ফিট অ্যান্ড ফাইন থাকতে নতুন বছরের রেসোলিউশনে অবশ্যই থাকুক 'পর্যাপ্ত ঘুম'
ফিট অ্যান্ড ফাইন থাকতে সঠিক ডায়েট, নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম।
Follow Us:
| Updated on: Jan 02, 2021 | 10:25 AM

নতুন বছরে অনেকেই অনেক রেসোলিউশন নিয়েছেন। বিশেষ করে বিশ সালে করোনা সাধারণ মানুষের সামনে এত কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছিল যে একটা ব্যাপার সকলেই মাথায় রাখছেন। যাই হোক না কেন সুস্থ থাকতে হবে।

আর এজন্য সবার আগে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। যখন-তখন ঘুমিয়ে নিলে হবে না। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে হবে। এমনিতেই কোভিডের জেরে প্রায় সকলেরই লাইফ সাইকেলে অসংখ্য পরিবর্তন এসেছে। এবার সেই সবকিছু ঠিক করে নেওয়ার পালা।

আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেরই একটা বায়োলজিকাল ক্লক থাকে। সেই ঘড়ির সময় ঘেঁটে গেলে বিপদ আসতে বাধ্য। তাই ফিট অ্যান্ড ফাইন থাকতে সঠিক ডায়েট, নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমালে তবেই আপনার শরীর সতেজ-ঝরঝরে থাকবে। অল্প পরিশ্রমে আপনি হাঁপিয়ে ক্লান্ত হয়ে যাবেন না।

পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য কী কী নিয়ম মেনে চলবেন-

১। ঘুমের সময় ঠিক করে নিন। রাতে কটার সময় ঘুমোতে যাবেন আর সকালে কটায় উঠবেন। একটা চার্ট বানিয়ে নিয়মিত ফলো করুন।

২। ঘুমের আগে মোবাইল ঘাঁটবেন না। টিভিও না দেখাই ভাল। প্রয়োজনে বই পড়ুন। হাল্কা মিউজিক শুনতে পারে। এতে ঘুম ভাল হবে।

৩। যাঁদের ঘুম আসতে দেরি হয়, দীর্ঘদিন রাত জাগার অভ্যাস রয়েছে, কিংবা রয়েছে ইনসোমোনিয়ার সমস্যা তাঁরা প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৪। মেনে চলতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকা। হলুদ মেশানো গরম দুধ খেয়ে ঘুমোতে যান। সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন অল্প দারুচিনি এবং জায়ফলের গুঁড়ো আর গুড়। এর ফলে ঘুম ভাল হবে।

৫। সারাদিন হাঁটাচলা-কাজকর্মের মধ্যে থাকুন। শরীরে পরিশ্রম হলে আপনাআপনিই ক্লান্তিতে ঘুম চলে আসবে।

৬। যাঁদের রাতে ঘুম আসতে সমস্যা হয় তাঁরা দিনের বেলায় না ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। এতে সারাদিনের পরিশ্রম, ক্লান্তিতে রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবেন।

৭। স্লিপ সাইকেল নষ্ট হয়ে গেলে আসবে হাজার সমস্যা। তাই চেষ্টা করুন নিয়ম মেনে পর্যাপ্ত সময় ঘুমোতে। যে ঘরে ঘুমাবেন সেখানে তীব্র আলো বা বেশি আওয়াজ যাতে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।