সাধারণত সবুজ শাকসবজি মানুষের খাদ্যতালিকায় প্রিয় থাকে না। তবে স্বাস্থ্যের জন্য শাক সবজিকে অবশ্যই রাখতে হয় খাদ্যতালিকায়। তাছাড়া এই শাকসবজিই হল বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলের উৎস। এরকম একটি উপাদান হল ফোলেট। সবুজ শাকসবজি হল এই ফোলেটের দুর্দান্ত উৎস, যা সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটার তৈরি করতে সহায়তা করে, যা আপনার মেজাজকে স্থিতিশীল সাহায্য করে।
আপনি যদি প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় তাজা ও সবুজ শাকসবজিকে রাখেন, তাহলে এর অর্থ হল মুড ভাল থাকতে চলেছে আপনার। এই বিষয়ে নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসক উমা নাইডু। তিনি বলেছেন যে, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি যা হয়তো আপনি সেভাবে শোনেন না তা হল ফোলেট (ভিটামিন বি৯)। ফোলেট হল একটি প্রয়োজনীয় নিউট্রেন্টস (যার অর্থ হল এটা খাদ্যের মাধ্যমে পাওয়া যায়) এবং শরীরে এই ফোলেটের ঘাটতি থাকলে ডিপ্রেশন, স্মৃতিশক্তি, ক্রনিক ক্লান্তি, বাইপোলার এবং একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।”
ফোলেটের অভাবে মস্তিষ্কের কোষগুলির ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে পারে, প্রাথমিকভাবে হিপোক্যাম্পাস গুলিতে। ডঃ নাইডু জানিয়েছেজে, “হিপোক্যাম্পাস একটি গুরুত্বপূর্ণ মস্তিষ্কের কাঠামো যা শেখা এবং স্মৃতির সঙ্গে জড়িত, তাই এর ক্ষয় মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে”।
ডঃ নাইডু তাঁর ইনস্টা পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে কীভাবে শরীরে ফোলেটের অভাব ডিপ্রেশনের ওপর প্রভাব ফেলে। যে ব্যক্তির শরীরের ফোলেটের পরিমাণ বেশি, তাঁর ডিপ্রেশনের সমস্যা কম। অন্যদিকে, যাঁরা ডিপ্রেশনের শিকার তাঁদের শরীরে ফোলেটের ঘাটতি পাওয়া গেছে। তবে ডঃ নাইডু এমন কিছু শাকসবজির নাম উল্লেখ করেছেন, যেগুলি খেয়ে আপনি আপনার শরীরের ফোলেটের ঘাটতিকে পূরণ করতে পারবেন। সেগুলি হল-
পালং শাক- পালং শাকের মধ্যে শুধু ফোলেট নয় একাধিক নিউট্রিয়েন্টস পাওয়া যায়। অন্যদিকে এই শাক শীতকালে উপলব্ধ। যেহেতু মরসুমি সবজি তাই আপনি সহজেই এই প্রাকৃতিক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারকে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারবেন।
বিনস- বিনসের মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে ফোলেট রয়েছে। এর মধ্যে থাকা অন্যান্য পুষ্টি হিসাবে ফাইবারও রয়েছে, যা আপনার শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মটরশুটি- যদি মরসুমি সবজিকে খাদ্যতালিকায় রাখতে হয় তাহলে শীতকালে মটরশুটির থেকে ভাল সবজি আর কি হতে পারে! এর মধ্যে একাধিক পুষ্টি রয়েছে যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: নিয়মিত পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়া; এমন অবস্থায় বাচ্চাদের মধ্যে কীভাবে গড়ে তুলবেন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা?