দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। কিন্তু ব্যস্ত জীবনযাত্রার দৌড়ে রাতে অর্ধেক দিন ঠিক করে ঘুম হয় না? এর পিছনে দায়ী আপনারই কিছু বদঅভ্যাস। অনিদ্রা এমন একটি সমস্যা, যা নিরাময় না করা গেলে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে শরীরে।
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, ডায়েটও মেনে চলেন। ব্যস্ত জীবনযাত্রা থেকে নিজের জন্য বার করে নেন সময়, যাতে মন ভাল থাকে। কিন্তু এই ব্যস্ততার দৌড়ে মাত্র পাঁচ ঘণ্টা ঘুমান? এখানেই আপনার সারাদিনের পরিশ্রম জলে যেতে পারে। তাই এই ঘুমের সমস্যা দূর করতে আপনার জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
অত্যধিক পরিমাণে ক্যাফেইন পান করা
অনেকেই রয়েছেন যাঁরা প্রচুর পরিমাণে চা, কফি পান করেন। এমনও অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যাঁরা ঘুমোনোর আগে বা রাতে কফি পান করা পছন্দ করেন। ক্যাফেইন যুক্ত খাবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। এই ধরনের খাবারগুলি শরীরকে এনার্জেটিক করে তোলে এবং ঘুমের পরিমাণকে কমায়। তাই ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং সারা দিনে এই ক্যাফেইন পান করার অভ্যাসটি ত্যাগ করুন।
সঠিক খাদ্য গ্রহণ না করা
রাতে ভাল ঘুম হওয়ার জন্যও আমাদের খাদ্যতালিকায় মনোযোগ দেওয়া দরকার। আমাদের খাদ্যতালিকায় ৬৫ % কার্বহাইড্রেট, ২৫ % প্রোটিন এবং ১০ % ফ্যাট হওয়া দরকার। ডায়েট থেকে একেবারে ফ্যাট দেওয়া উচিত নয়। তাহলে অত্যধিক ফ্যাট খাওয়াও ভাল নয়। এরকম উপযুক্ত ডায়েট ঘুমকে উন্নত করতে পারে।
নিয়মিত যোগব্যায়াম না করা
ঘুমের জন্য ক্লান্ত হওয়া দরকার, তবে খুব বেশি নয়। যাঁরা একেবারেই সারাদিন কোনও পরিশ্রম করেন না তাদের ঘুম সহজে হয় না। অন্যদিকে, বেশি মানসিক চাপ থাকলেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এর জন্য নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করা উচিত। যোগ ব্যায়াম করলে মানসিক চাপও কমে এবং শরীরে পরিশ্রম হয়। এর ফলে রাতে ঘুম ভাল হয়।
প্রতিকার
ট্রাইফটোফোন একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের শরীরে সেরোটোনিন, ঘুম-প্ররোচিত হরমোন উৎপাদন করে। এটি দুধ, ডিম, মাছ, মুরগির মতো প্রোটিনে পাওয়া যায়। যদি এগুলি দিনের বেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে ভাল ঘুম আসে। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করাও উপকারী। কিন্তু আপনি যদি খুব দীর্ঘ সময় ধরে অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে দেরি করবেন না।
আরও পড়ুন: নিয়মিত পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়া; এমন অবস্থায় বাচ্চাদের মধ্যে কীভাবে গড়ে তুলবেন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা?