Side Effects Of Plastic Water Bottles: প্লাস্টিকের বোতলে জল খান, গরমের দিনে কতটা ভুল করছেন?
Plastic Water Bottle Pollution: শরীরের জন্য যে মোটেই ভাল নয় প্লাস্টিক একথা একাধিকবার বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। প্লাস্টিকের যত ভালই বোতল হোক না কেন রোদের সংস্পর্শে আসলে তার সঙ্গে জলের বিক্রিয়ৈয় তৈরি হয় ক্ষতিকারক রাসায়নিক যৌগ
Plastic Water Bottles and Harmful Effects: গরমের দিনে তেষ্টা মেটাতে বেশি করে জল খেতেই হবে। রোজ যে ভাবে বাড়ছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি তাতে আরও বেশ কিছু বিষয়েও কিন্তু সাবধানে থাকতে হবে। রোদ-গরমে বাড়ছে ঘাম, ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ জল, প্রয়োজনীয় খনিজ বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্লান্তিভাব থাকছে বেশি। তাই সারাদিনে জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান। সঙ্গে বেশি করে ফলের রস, ফল, ডাবের জল এসবও কিন্তু খেতে হবে। গরমের দিনে বাইরে বেরোলে মাঝেমধ্যে এমন তেষ্টা পায় যে তখন জল কিনে খাওয়ার মত কোনও সময় থাকে না। যেখান থেকে খুশি জল কিনে নেন অনেকেই। এছাড়াও বাইরে থেকে জল কেনা মানে সেই প্লাস্টিকের বোতলই ভরসা। যা আমাদের শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। জল ভর্তি জার অনেকক্ষণ পর্যন্ত বাইরে রোদে পড়ে থাকে। এতে এতাধিক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু যেমন প্রবেশ করার সুযোগ পায় তেমনই কিন্তু রোদে প্লাস্টিকের সঙ্গে বিক্রিয়ায় ক্ষতিকর রাসায়নিক যৌগ তৈরি হয়। যেখান থেকে আসে ক্যানসারের সম্ভাবনা।
সম্প্রতি একটি সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে এই তথ্যয়। সেখানে আরও বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে প্লাস্টিকের বোতলে থাকা জল একেবারেই খাওয়া ঠিক নয়। বড় জলের যে সব ব্যারেল একটানা রোদের মধ্যে পড়ে থাকে সেখান থেকেও কিন্তু ক্ষতিকর জাবাণু প্রবেশ করতে পারে শরীরে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাড়ির মধ্যেও প্লাস্টিকের কোনও বোতল রাখবেন না। কারণ সূর্যের তাপে গাড়িও গরম হয়, সেখান থেকে কিন্তু জলের বোতলগুলোও গরম হয়। গাড়ির মধ্যে প্লাস্টিকের বোতল কিংবা বক্সে থাকা যে কোনও খাবারই রাসায়নিক বিক্রিয়ায় চটজলদি ভেঙে যায় ক্ষতিকর রাসায়নিক যৌগতে। যার সঙ্গে শরীরের বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেকটা বেশি।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্লাস্টিকের বোতলে জল খেলে সেখান থেকে হতে পারে পেটের সমস্যাও। আসতে পারে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। আর এই প্লাস্টিকের বোতলে জল খাওয়াও কিন্তু PCOS-এর অন্যতম কারণ। ডিম্বাশয়ের ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার এবং আরও অনেক ক্যানসারের কারণ কিন্তু এই প্লাস্টিকের বোতল। সূর্যের আলো আর প্লাস্টিকের সঙ্গে বিক্রিয়ায় ডাইঅক্সিন তৈরি হয়। এই ডাইঅক্সিন কিন্তু স্তন ক্যানসারের জন্য দায়ী। এছাড়াও তৈরি হয় বাইফেনাইল- যা ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণকে কমিয়ে দেয়। ডেকে আনে ডায়াবিটিস, ওবেসিটি, মানসিক ভারসাম্যহীনতার মত একাধিক সমস্যা। যা পরবর্তীতে আরও জটিল আকার ধারণ করে। তাই প্লাস্টিকের বোতলে জল রাখা কিংবা খাওয়া কোনওটাই কিন্তু ঠিক নয়।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরও কিন্তু প্রভাব ফেলে প্লাস্টিকের বোতল। প্লাস্টিকের মধ্যে phthalates নামক এক রকম রাসায়নিক যৌগ থাকে। যা শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে। তেমনই লিভার ক্যানসারের জন্যও কিন্তু দায়ী Phthalates কণা। এমনকী সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে নামী সংস্থার প্যাকেটজাত জলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে। যা প্লাস্টিকের একেবারে ক্ষুদ্র কণা। ৯৩ শতাংশ প্লাস্চিকের বোতলেই থাকে এই কণা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই কণাকে শরারের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে চিহ্নিত না করলেও উদ্বেগ কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Air Cooler: ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে এসি নাকি কুলার! সুস্থ থাকতে ভরসা করবেন কাকে?