Almond For Diabetes: মেথি-উচ্ছে নয় আমন্ড খেয়েই রাশ টানা যাবে ডায়াবেটিসে, যা বলছে নয়া গবেষণা
Best Food To Control Diabetes: খাবার খাওয়ার আগে বাদাম খেলে ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক থাকে। এছাড়াও বাদামের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখে
রোজ সকালে উঠে ভেজানো বাদাম খাওয়ার চল আজনের নয়, বহুদিনের। সুস্থ থাকতে আগেকার দিনে মানুষ দিন শুরু করতেন ভেজানো ছোলা-বাদাম খেয়ে। অনেকে গুড় ছোলাও খেতেন। তবে যাঁরা শরীরচর্চা করতেন তাঁরা বাদামই খেতেন। চিনে বাদাম এখন বদলে গিয়েছে আমন্ডে। পুষ্টিবিদরাও বলছেন রোজ সকালে উঠে ভেজানো আমন্ড খেতে। এই আমন্ড খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আমন্ডের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রনের মত পুষ্টি। যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। এছাড়াও বাদামের মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম। যে কারণে তা শরীরের এত উপকারে লাগে।
সম্প্রতি ভারতীয় গবেষকরা ডায়াবেটিসে আমন্ডের প্রভাব এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণা করেছিলেন। এছাড়াও ইউরোপীয় জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনের একটি গবেষণাতেও বলা হয়েছে সকালে একগ্লাস জল খাওয়ার পর ২০ গ্রাম আমন্ড খেলে রক্তশর্করা থাকে নিয়ন্ত্রণে। তবে এই আমন্ড খাওয়ার পর ৩০ মিনিট কিছু খাওয়া চলবে না। যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম তাঁদের ক্ষেত্রেই কিন্তু এই টোটকায় সবচাইতে ভাল কাজ হবে। এছাড়াও ভারতেও বেশ কিছু ডায়াবেটিস আক্রান্তের উপরেই এই পরীক্ষা চালানো হয়। সেখানে তাদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে যে রক্তশর্করা থাকছে নিয়ন্ত্রণে। তবে কী ভাবে খাবেন আমন্ড?
গবেষকরা বলছেন যে কোনও খাবারের আগে বাদাম খেলেই রক্তশর্করা থাকে নিয়ন্ত্রণে। কেউ চাইলে ভাত খাওয়ার ৩০ মিনিট আগেও ২ টো আমন্ড খেতে পারেন। এতে শুধু সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না ইনসুলিন, সি-পেপটাইড, গ্লুকাগন-এর মাত্রা ঠিক থাকবে। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকবে সেই সঙ্গে গ্লাইসেমিক প্যারামিটারও ঠিক থাকবে।
সারাদিনে ৫-৬টা পর্যন্ত বাদাম খাওয়া যেতে পারে। প্রচিদিন খাবার খাওয়ার আগে ১৭-১৮ টি বাদাম খেতে পারলে খুব ভাল। তবে এই বাদাম একসঙ্গে নয়। সারাদিনে ভেঙে ভেঙে খেতে হবে। ব্রেকফাস্ট, দুপুরের খাবার খাওয়ার আগে এবং রাতের খাবারের আগে নিয়ম মেনে খান। ২০ গ্রাম আমন্ডের মধ্যে ১৭-১৮টি বাদাম থাকে। গবেষণাটি ২৭ জন পুরুষ এবং ৩৩ জন মহিলার উপর চালানো হয়। এমন কিছু জনের উপর করা হয়েছিল যাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ছিল। এরা নিয়ম করে আমন্ড খান। এরপর দেখা যায় তাঁদের রক্তশর্করার পরিমাণ কমেছে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমেছে সেই সঙ্গে রক্তে গ্লুকোজ, সিরাম ইনসুলিন, প্লাজমা গ্লুকাগন, সিরাম সি-পেপটাইডের মাত্রাও অনেকখানি কমে গিয়েছে।
খাবার খাওয়ার আগে বাদাম খেলে ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক থাকে। এছাড়াও বাদামের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। সেই সঙ্গে গ্লুকোজের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর আমন্ডের মধ্যে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
ভেজানো নয়, কাঁচা বাদামই খান
সকলেই আমন্ড ভিজিয়ে খান। কিন্তু গবেষণায় বলা হয়েছে আমন্ড সব সময় কাঁচা খাওয়া উচিত। এতে বাদামের পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। এছাড়াও বাদামের মধ্যে থাকে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফাইবার। ২০ গ্রাম বাদামের মধ্যে থাকে ২.৯ গ্রাম ফাইবার, ক্যালোরি ১১৬। যার ফলে তা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।