High Cholesterol: ঘুমন্ত অবস্থায় পায়ে টান ধরে? কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়নি তো!
Signs in Legs: উপসর্গ দেখা দিলেও মানুষ সহজে বুঝতে পারে না যে শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে চলেছে। সেক্ষেত্রে লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করালেই কপালে ভাঁজ পড়ে।
বুকে ব্যথা হলেই চিন্তিত হয়ে পড়েন অনেকেই। এখন যে হারে অল্প বয়সে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে তাতে এই ধরনের উপসর্গ চিন্তার কারণ। কিন্তু পায়ে ব্যথা হলে কি আপনি একইভাবে সতর্ক হন? বেশিরভাগ মানুষের ধারণা পায়ের সমস্যা হাড়ের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু সবসময় তা হয় না। ঠিক যেমন ডায়াবেটিসের কারণে পায়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে, একইভাবে কোলেস্টেরলের কারনেও পায়ে ব্যথা হতে পারে। আর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অর্থ হল হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়া।
অলস জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া এবং আরও নানা কারণে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু সমস্যা হল, উপসর্গ দেখা দিলেও মানুষ সহজে বুঝতে পারে না যে শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে চলেছে। সেক্ষেত্রে লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করালেই কপালে ভাঁজ পড়ে। একবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে যায়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, কোলেস্টেরলের কারণে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। কিন্তু কোলেস্টেরল বাড়লে তার প্রথম উপসর্গ প্রকাশ পায় নিতম্বে ও পায়ে।
কোলেস্টেরল হল একটি মোমযুক্ত, চর্বি জাতীয় পদার্থ। এইচডিএল এবং এলডিএল- কোলেস্টেরল এই দু’ধরনের হয়। এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেই সমস্যা দেখা দেয়। এলডিএল ধমনীতে জমতে শুরু করে। এর ফলে রক্তপ্রবাহে বাধা তৈরি হয়। এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত সরবরাহ ঠিকভাবে হয় না। এর জন্য শরীরের নিম্ন অংশে অর্থাৎ পায়ে, নিতম্বে ব্যথা হয়। একে চিকিৎসা-বিজ্ঞানে ‘পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ’ বা ‘পিএডি’ বলা হয়।
পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজে আক্রান্ত হলে পায়ে টান ধরা ও ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করে পায়ে ক্র্যাম্প শুরু হয়। এটি উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ। এছাড়াও পা অসাড় হয়ে যায়, হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়। অনেক সময় পায়ের পাতা ঠান্ডা হয়ে যায়। আবার পা নীল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পায়ের ক্ষত শুকনো হতেও বেশি সময় নেয়। আসলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা ধমনীতে জমা হয় এবং রক্ত চলাচল অব্যাহত হয়ে যায়। এতে শরীরের নীচের অংশ পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। এই কারণেই এই লক্ষণগুলো শরীরে দেখা দেয়। তাই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আর যদি প্রথম থেকেই উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা এড়াতে চান, তাহলে লাইফস্টাইলের দিকে নজর দিন। খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতেই হবে। ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার, তাজা ফল, শাকসবজি বেশি করে খান। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বশে থাকবে।