Creatinine Levels: ডায়াবেটিসে ভুগছেন? ক্রিয়েটিনিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে জরুরি এই টিপসগুলি…

Diabetes And Creatinine Levels: ডায়াবেটিস থাকলে সেখান থেকে কিডনির সমস্যা আসার সম্ভাবনা থাকে অনেকটা বেশি। যে কারণে ডায়াবেটিসের রোগীদের নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলা ও ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি

Creatinine Levels: ডায়াবেটিসে ভুগছেন? ক্রিয়েটিনিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে জরুরি এই টিপসগুলি...
যে ভাবে ক্রিয়েটিনিন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2022 | 7:48 PM

Tips For Diabetic Patient: নিঃশব্দ ঘাতকের মত শরীরে থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস। যাঁরা নিজেদের শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন নন, তাঁরা যদি নিয়মিত পরীক্ষা না করান তাহলে তাঁরাও বুঝতে পারেন না আদৌ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা। ডায়াবেটিসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের চোখ আর কিডনি। পরবর্তীতে প্রভাব পড়ে হার্টেও। যে কারণে ডায়াবেটিসের রোগীদের সব সময় কিডনি সুস্থ আছে কিনা তা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসে। আর ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা দেখেই বোঝা যায় যে কিডনি ঠিকমতো ফাংশন করছে কিনা। ক্রিয়েটিনিন আমাদের শরীরের বর্জ্য পদার্থ। আর তাই প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে যদি বেশি পরিমাণ ক্রিয়েটিনিন বেরিয়ে যায় তাহলে তা কিন্তু অবধারিত ভাবে কিডনির সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ।

ডায়াবেটিসে যাঁরা ভুগছেন তাঁদের ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। ডায়াবেটিস থাকলে সেখান থেকে কিডনির সমস্যা ইউরিন ইনফেকশন এসব হয়েই থাকে। আর তাই আপনার রোজকার জীবনযাপনে কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন আনতেই হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রাশ টানতে হবে রোজকার ডায়েটে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবে। মনে চলতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শও।

ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক মাত্রা হল-

প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে- ০.৬ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম/ ডি এল প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে- ০.৫ থেকে ১.১ মিলিগ্রাম/ ডি এল কিশোর- ০.৫ থেকে ১.০ মিলিগ্রাম/ ডি এল শিশু- ০.৩০ থেকে ০.৭ মিলিগ্রাম/ ডি এল

ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে হলে প্রথমেই যা করতে হবে-

প্রোটিন নিয়ন্ত্রণে রাখুন- শরীরে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে প্রোটিন প্রয়োজন। তবে তা যেন সীমার মধ্যে থাকে। প্রোটিন বেশি খেলেই ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ফাইবার বেশি করে খান- রোজকার খাদ্যতালিকায় বেশি করে ফাইবার রাখুন। শস্যদানা, ভিটামিন সি এই সব বেশি করে খান। এতে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই সঙ্গে শরীরও থাকে সুস্থ। আর তাই ফাইবার যত বেশি পরিমাণে খেতে পারবেন ততই কিন্তু ভাল।

ডিহাইড্রেশন যাতে না হয় সে দিকে খেয়াল রাখুন- ডিহাইড্রেশন হলে অর্থাৎ শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় কম জল থাকলে সেখান থেকেও কিন্তু সমস্যা হতে পারে। চাপ পড়ে কিডনিতে। আর তাই প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। প্রতিদিন কত পরিমাণে জল খাচ্ছেন সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গে রোজ একটা করে ডাবের জল খেতে পারলে আরও ভাল।

ধূমপান ত্যাগ করুন- ধূমপান শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। নিয়মিত ভাবে ধূমপান করলে বাড়ে কিডনির সমস্যা। সিগারেটের মধ্যে যে নিকোটিন থাকে তা আমাদের শরীরে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

কোনও সাপ্লিমেন্ট নয়- ডায়াবেটিস থাকলে এবং শরীরে যদি ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে কোনও রকম সাপ্লিমেন্ট খাবেন না। এতে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তখন কিন্তু কিডনি ফেলিওয়ের দিকে যেতে পারে। ডায়াবেটিসে এমনিই কিডনি কমজোরি থাকে। তাই যাতে অধিক চাপ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।