Pregnancy Tips: গর্ভপাত হওয়ার কতদিন পরে ফের গর্ভধারণের চেষ্টা করা উচিত?
Pregnancy Tips: বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পুনরায় গর্ভধারণ করার আগে, নারীর শারীরিক ও মানসিক স্বাচ্ছন্দ্যের দিকগুলো খেয়াল রাখা প্রয়োজন। দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করার আগে কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখা উচিত জানেন?

৯ মাস নিজের গর্ভে সন্তানকে ধারণ করেন একজন মা। এই সময়ে স্বাভাবিক নিয়মে তাঁর শরীরের ভিতরেও চলে নানা পরিবর্তন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে নানা শারীরিক সমস্যার কারণে সেই সন্তানের জন্মের আগেই মৃত্যু হয়। আর ভাল ভাবে বললে গর্ভপাত ঘটে। তারই সঙ্গে অবসান ঘটে আগত শিশুকে ঘিরে গড়ে ওঠা বহু স্বপ্নের। শারীরিক তো বটেই তবে তারই সঙ্গে মানসিক ভাবের গভীর প্রভাব ফেলে। মানসিক অবসাদের কারন হতে পারে। তবে একবার গর্ভপাত হওয়া মানেই সবটা শেষ নয়। পুনরায় সন্তানের জন্য চেষ্টা করেন দম্পতিরা। অনেকেই এই সময় অধৈর্য্য হয়ে পরে তৎক্ষণাৎ বা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ফের সন্তানের জন্য চেষ্টা করেন। তবে এই প্রবণতা কি ঠিক? গর্ভপাত হওয়ার কতদিন পরে গর্ভধারণ করা উচিত জানেন?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পুনরায় গর্ভধারণ করার আগে, নারীর শারীরিক ও মানসিক স্বাচ্ছন্দ্যের দিকগুলো খেয়াল রাখা প্রয়োজন। দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করার আগে কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখা উচিত জানেন?
গর্ভপাতের পর একজন নারীর বিষন্ন হয়ে পড়াটা স্বাভাবিক। কেন এমনটা হল, ফের সন্তান হবে কি না নানা ধরনের ভাবনা চলতে থাকে মনের মধ্যে। তার সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া সন্তানের জন্য কোথাও একটা শোক থেকেই যায়। গর্ভ ধারণ করতে গেলে হবু মায়ের মানসিক স্থিরতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। না হলে সিএ প্রভাব পড়তে পারে তাঁর দ্বিতীয় সন্তানের উপরেও।
যদি কারও বয়স ৩০ পেরোনোর পর গর্ভপাত হয়, তাহলে ন্যূনতম তিন মাস পর আবার গর্ভধারণের পরিকল্পনা করা উচিত। বয়স ৩০–এর কম হলে আরও খানিকটা সময় অপেক্ষা করাই ভালো বলে মত চিকিৎসকদের। এই সময়ের মধ্যে নতুন মায়ের পুষ্টি, বিশ্রাম ও মানসিক শান্তির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি তিনি সব দিক থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত থাকেন তবেই গর্ভধারণের কথা ভাবা উচিত।
গর্ভপাতের পর প্রথম দুই সপ্তাহ সহবাস থেকেও বিরত থাকা ভাল। সন্তানধারণের পর নারীর দেহে বেশ কিছু হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। গর্ভপাত হলে জরায়ুতেও পরিবর্তন হয়। দেহকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য, পর্যাপ্ত সময় দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভে থাকাকালীন সময়ে মায়ের দেহ থেকে পুষ্টি নেয় শিশু। তাই দৈহিক ভাবে হবু মা তৈরি কিনা তাও দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
মনে রাখবেন, এক বা একাধিকবার গর্ভপাত হওয়ার পরেও একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিতে পারেন। এই সময়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের প্রতি গুরুত্ব দিন। টাটকা ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামরসশ করুন। প্রয়োজনে ডায়েট প্ল্যান করে নিন।
