Joint Pain: বয়স বাড়ার সঙ্গে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ব্যথা-যন্ত্রণা? ঝুঁকি এড়াবেন কীভাবে…
Arthritis: বিশেষজ্ঞদের মতে, কম বয়সে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের সমস্যা দেখা দেওয়ার পিছনে রয়েছে মূলত জীবনধারা। এখন মানুষের শরীরচর্চার ঝোঁক কমে গিয়েছে।

বয়স যত বেড়ে চলেছে একে একে দেখা দিচ্ছে নানা রোগ। কিন্তু সময়ের আগেই যে সব রোগ বেশি ঘিরে ধরছে, তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে হাড়ের সমস্যা। আগে ৫৫ থেকে ৬০ বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে গাঁটে ব্যথা, বাতের সমস্যা দেখা দিত। কিন্তু বর্তমান জীবনধারা বদলে দিয়ে সব কিছু। এখন ৩০ পেরোলে মানুষ ভুগছেন হাড়ের ব্যথা-যন্ত্রণা নিয়ে। সমস্যা হল, এই ব্যথা-যন্ত্রণা এতটাই তীব্র হয় যে দৈনন্দিন রুটিনের কাজকর্মেও ব্যাঘাত ঘটে। তাই সব সময় অস্টিওআর্থ্রাইটিস রোগের সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।
কী এই অস্টিওআর্থ্রাইটিস?
দুটো হাড়কে ঘিরে থাকে কার্টিলেজ। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই কার্টিলেজের ক্ষয় হলেই শরীরে শুরু হয় ব্যথা-যন্ত্রণা। আর একেই চিকিৎসার ভাষায় বলে অস্টিওআর্থ্রাইটিস। আগে বার্ধক্যের সঙ্গে দেখা দিতে হাড়ের ক্ষয়। কিন্তু এখন যৌবনেই ঘিরে ধরেছে এই সমস্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কম বয়সে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের সমস্যা দেখা দেওয়ার পিছনে রয়েছে মূলত জীবনধারা। এখন মানুষের শরীরচর্চার ঝোঁক কমে গিয়েছে। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকে, কিংবা ল্যাপটপ বা ফোন নিয়ে বসে থাকে। এর পাশাপাশি ওবেসিটির মতো লাইফস্টাইল ডিজিজও রয়েছে। অনেক সময় অস্বাস্থ্য খাদ্যাভ্যাসও হাড়ের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। শরীর সক্রিয় না হওয়ার ফলে কার্টিলেজ নিজের কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে এবং ধীরে ধীরে এর ক্ষয় হয়।
কম বয়সে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে যে সব কারণ- কোনও শারীরিক পরিশ্রম না করা, দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা, অফিসে গেলে সেখানেও সারাক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে বসে থাকা, ওজন বেড়ে যায়, ভুল ভঙ্গিতে বসা ও শোয়া, ডায়াবেটিস, হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি। এছাড়াও যদি কোনওদিন হাড়ে জোট লাগে তাহলেও বেড়ে যেতে পারে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি।
অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি এড়াতে কী-কী করবেন?
-ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজন বেশি হলে শুধু অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ে তা নয়। এর পাশাপাশি আরও অনেক রোগ ঘিরে ধরতে পারে আপনাকে।
-সুষম আহার করুন। স্বাস্থ্যকর ডায়েট সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
-শরীরকে সক্রিয় রাখুন। নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন। যোগব্যায়ামের সময় না হলে অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটুন। সেটারও যদি সময় না হয় দৈনন্দিন বাড়ির কাজকর্ম যেমন বাসন মাজা, ঘর মোছা, বাগানের কাজ করা ইত্যাদি করুন।
-গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধূমপানের অভ্যাস অস্থিসন্ধিতেও প্রভাব ফেলে। বাতের সমস্যাকে নিজেকে বাঁচাতে আজ ধূমপান ত্যাগ করুন।
-ডায়াবেটিস হচ্ছে এমন একটি রোগ যা শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। যদি সুগার থাকে, তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আর যদি না থাকে তাহলে এই রোগের ঝুঁকি এড়ান।
-হাড়ের যেন চোট না লাগে এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন। দুর্ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা করুন। যদি কখনও হাড়ে আঘাত লাগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং যথাযথ বিশ্রাম নিন।





