Liver Health: অকালে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না লিভার মেনে চললে এইসব নিয়ম, জানুন কী করণীয়
Liver Health: যকৃত শরীরে রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ এবং পিত্ত উৎপাদন থেকে শুরু করে খাদ্য হজম করা সবেতেই সাহায্য করে। লিভারকে সুস্থ রাখতে কী পদক্ষেপ করা জরুরি জানুন...
লিভার (Liver) বা যকৃত শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যকৃত শরীরে রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ এবং পিত্ত উৎপাদন থেকে শুরু করে খাদ্য হজম করা সবেতেই সাহায্য করে। এছাড়াও বর্জ্য অপসারণ, কোলেস্টেরল (Cholesterol) উৎপাদন, চর্বি পরিবহন ও আয়রন সঞ্চয় করে রক্ত জমাট বাঁধা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এটি ক্ষতিগ্রস্থ হলে হতে পারে ভয়ানক ক্ষতি। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অ্যালকোহল সেবন এবং জেনেটিক কারণে লিভারের রোগ হতে পারে । তবে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা লিভারের সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি দিতে পারে। লিভারকে সুস্থ রাখতে কী পদক্ষেপ করা জরুরি জানুন…
লিভারকে সুস্থ রাখতে হলে সবার আগে প্রয়োজন এটিকে পরিষ্কার রাখা। জানুন কীভাবে পরিষ্কার রাখবেন যকৃত.. এক গ্লাস উষ্ণ জলে লেবু দিয়ে খেয়ে দিন শুরু করুন। এই অভ্যাস লিভারকে সতেজ রাখে। এরপর স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট করুন। পাতে যেন অবশ্যই সবুজ শাক সবজি এবং গোটা শস্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। প্রক্রিয়াজাত এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন যা লিভারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে হালকা ব্যায়াম করুন, যেমন স্ট্রেচিং বা হাঁটা। এছাড়াও, সমস্ত নির্ধারিত ওষুধ খান এবং সারা দিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। প্রচুর স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ফল, শাকসবজি, বাদাম এবং বীজ খান। অতিরিক্ত অ্যালকোহল এবং ক্যাফিন এড়িয়ে চলুন কারণ এই পদার্থগুলি লিভারের ক্ষতি করতে পারে। কফির পরিবর্তে ভেষজ চা বা ডিক্যাফিনেটেড পানীয় বেছে নিন।
মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান করুন। এক সঙ্গে খুব বেশি খাওয়া এড়িয়ে চলুন কারণ অতিরিক্ত খাওয়া লিভারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কর্মক্ষেত্রে অল্প বিরতি নিন কারণ দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকলে লিভারে চাপ পড়ে। ভারী বা ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন। গভীর রাতে ভাজাভুজি খাবার খাওয়া চলবে না। লিভার সুস্থ রাখতে গেলে ঘুমটাও সমানভাবে জরুরি। রাতে ১০ টার মধ্যে ঘুমনোর অভ্যাস করুন। এতে সুস্থ থাকবে লিভার। এছাড়া বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চলুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।