ডায়াবেটিস (Diabetes) একটি লাইফস্টাইল ডিজ়িজ। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লিভারের (Liver) সমস্যাও। দেখতে গেলে এই দুটো সমস্যাই অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া কারণে ঘটে। অন্যদিকে, এই ডায়াবেটিস ‘নীরব ঘাতক’। এই রোগ ধীরে ধীরে আপনার শরীরের কী-কী ক্ষতি করছে তা আপনি প্রথমে বুঝতে পারবেন না। এই ডায়াবেটিসের কারণে কিডনি ফেলিওরের মত ঘটনাও দেখা যায়। অন্যদিকে, আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হন তাহলে আপনার লিভারের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। কারণ আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হন, এখান থেকে আপনার নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজ়িজ (NAFLD) এর ঝুঁকি বেড়ে যায়, যা লিভার সিরোসিস এবং লিভারের ক্ষতি করে।
ডায়াবেটিস ভারতের লিভার ফেলিওরের দ্বিতীয় প্রধান কারণ। টাইপ-২ ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা একজনের শরীরের চিনি বিপাক করার পদ্ধতিকে প্রভাবিত করে। এটি তখন ঘটে যখন শরীর ইনসুলিন প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। এখানেই তৈরি হয় লিভারের সমস্যাও। লিভারকে সুস্থ রাখতে, একটি সুষম খাদ্য খাওয়া জরুরি যাতে প্রচুর পরিমাণে তাজা ফল এবং শাকসবজি থাকে এবং শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকা দরকার। আর যদি আপনি ডায়াবেটিসের রোগী হন, তাহলে অনুসরণ বেশ কয়েকটি বিষয়…
-আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, পুষ্টিকর খাবার খান, জাঙ্ক, প্রক্রিয়াজাত, টিনজাত এবং চিনি সমৃদ্ধ খাবার থেকে দূরে থাকুন।
-ডায়েট কোক, সোডা, মিষ্টি, বেকারি আইটেম এবং চকোলেট খাওয়া কমিয়ে দিন।
-বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু সময় অন্তর অন্তর খাবার খান। পরিমাণে কম খাবার খান কিন্তু বারে বেশি খাবার খান। এতে হজম ক্ষমতাও উন্নত হয়।
-গোটা শস্য, তাজা ফল এবং তাজা শাক-সবজিকেকে আপনার দৈনন্দিন ডায়েটের অংশ করে তুলুন। এমন খাবার বেশি করে খাব যাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে।
-ডায়েটের পাশাপাশি নজর দিন শরীরচর্চাতেও। প্রতিদিন ৪৫ মিনিট করে ব্যায়াম করুন। যদি ব্যায়াম না করার সময় পান তাহলে এমন কাজ করুন যার সঙ্গে শারীরিক কার্যকলাপ যুক্ত রয়েছে। যেমন সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, ঘর মোছা, পোষ্যর সঙ্গে খেলা করুন।
-সোডিয়াম এবং ক্যাফেইন যুক্ত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। এতে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
-ধূমপান এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন। এছাড়াও ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকে এবং লিভারের সমস্যা থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আরও পড়ুন: কখনও রেগে যাচ্ছেন, কখনও বিষণ্ণতা গ্রাস করছে! মুড সুইংকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কীভাবে?