Mood Swing: কখনও রেগে যাচ্ছেন, কখনও বিষণ্ণতা গ্রাস করছে! মুড সুইংকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কীভাবে?
Lifestyle Tips: হঠাৎ করেই মুড বদলে যাচ্ছে। খিটখিটে হয়ে যাচ্ছেন। আবার হঠাৎ করেই বিষণ্ণতায় ডুব দিচ্ছেন। এর মানে হল আপনার ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন হয়। যাকে বলা হয় মুড সুইং।
হঠাৎ করেই মুড বদলে যাচ্ছে। খিটখিটে হয়ে যাচ্ছেন। আবার হঠাৎ করেই বিষণ্ণতায় ডুব দিচ্ছেন। ইচ্ছাকৃত ভাবে না হলেও কারোর সঙ্গে হঠাৎ করেই খারাপ ব্যবহার করে ফেলছেন। কোনও কাজে মন লাগছে না। কিন্তু এই ‘হঠাৎ মন খারাপ’-এর হওয়ার পিছনে কোন কারণ রয়েছে তা আপনার জানা নেই। কর্মব্যস্ত এই সময়ে সবাই মুড সুইংয়ের সমস্যায় পড়েন। কেউ হয়তো কম, আর কেউ বেশি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনটা খুব ভাল ছিল, হঠাৎ করেই মন খারাপ। জানা নেই কেন মন খারাপ হল। আবার হুট করে রেগেও গেলেন। এর মানে হল আপনার ঘন ঘন মেজাজ (Mental Health) পরিবর্তন হয়। যাকে বলা হয় মুড সুইং (Mood Swing)। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন বা মুড সুইং হয় তাদের মস্তিষ্ক খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
গবেষণা বলছে মহিলারা বেশি এই মুড সুইংয়ের শিকার হন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পিরিয়ডের আগে বা পরে কিংবা পিরিয়ডের সময় হরমোন পরিবর্তনের কারণে মেজাজ পরিবর্তন হয়। কিন্তু পিরিয়ড ছাড়াও যদি আপনার মুড সুইং হয় তাহলে এই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। শুরুর দিকে আপনি যদি এই মুড সুইংয়ের সমস্যার সমাধান না করতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে এটি বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মত জটিল ও গভীর মানসিক রোগে পরিণত হতে পারে। তাই সময় থাকতেই এই মুড সুইংয়ের যত্ন নেওয়া জরুরি।
অকারণে দুঃখ বোধ করা, শক্তির অভাব, সক্রিয় না থাকা, ইচ্ছার অভাব, বিরক্তি, আত্মবিশ্বাসের অভাব, সারাক্ষণ ক্লান্ত বোধ করা, খুব ক্ষুধার্ত বোধ করা, শ্বাসকষ্ট হওয়া ইত্যাদি সবই মেজাজ পরিবর্তনের লক্ষণ। জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন এনেই আপনি এই মুড সুইংয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
-স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলুন। আপনার ডায়েটে কম চিনি এবং কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি আপনার মুড সুইংয়ের সমস্যা নিরাময় করতে পারে।
-প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুম হওয়া খুবই জরুরি। এটি আপনাকে সুস্থ রাখে এবং আপনার মেজাজও ঠিক থাকে। পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে, আপনি সারা দিন সক্রিয় এবং খুশি বোধ করবেন।
-মেজাজ উন্নত করার জন্য ব্যায়ামের চেয়ে ভাল আর কিছুই নেই। এর সাহায্যে, আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারবেন এবং আপনি আপনার হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সক্ষম হবেন।
-আপনি যদি নিজেকে শান্ত করতে না পারেন তবে গান শুনতে পারেন। এতে আপনি শান্ত বোধ করবেন এবং আপনার মুড সুইং সমস্যাও দূর হবে।
-মেজাজ পরিবর্তনের সমস্যা এড়াতে শরীরের জন্য হাইড্রেটেড থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বেশি করে জল পান করুন। এর ফলে শরীরে উপস্থিত টক্সিন সহজে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যের অতিরিক্ত যত্ন নিতে গিয়ে ভুল করে ফেলছেন না তো?