Diabetes: বারবার এই তিন সংক্রমণ ঘুরে ফিরে আসছে শরীরে ? হতে পারে আপনি হাই ব্লাডসুগারে ভুগছেন!
High blood sugar: রক্তে সুগার বাড়লে নানা রকম সমস্যা হয়। সব সময় যে তা বোঝা যায় এমন কিন্তু নয়। কিন্তু পায়ের পাতায় ইনফেকশন, ইউরিন ইনফেকশন ঘুরে ফিরে হলে তা মোটেই ভাল লক্ষণ নয়
ডায়াবিটিস এখন ঘরে ঘরে। এমন কোনও বাড়ি খুঁজে পাীওয়া যাবে না, যেখানে পরিবারের কোনও সদস্য ডায়াবিটিসে ভুগছেন না। ডায়াবিটিস আমাদের শরীরে নিঃশব্দ ঘাতকের মত প্রবেশ করে। এবং সেই সঙ্গে শরীরের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকেই কিন্তু বুঝতে পারেন না যে তিনি ডায়াবিটিসে ভুগছেন। টাইপ ১ আর টাইপ ২ ডায়াবিটিসের রোগ লক্ষণ প্রায় একই রকম কিন্তু যাঁদের হাইপারগ্লাইসেমিয়া রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা কিন্তু অনেক বেশি জটিল। হাইপারগ্লাইসেমিয়া থাকলে অজান্তেই শরীর নানা ধরণের ইনফেকশনের শিকার হবে। যা আপনি আপাত দৃষ্টিতে বুঝতেই পারবেন না।
দায়াবিটিসে মূল সমস্যা হল শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। আর আমরা প্রয়োজনীয় শক্তি পাই ইনসুলিন থেকে। সেখানেই থেকে যায় প্রাথমিক ঘাটতি। আর ইনসুলিন তখন শরীরের অন্যত্র জমা হয়ে যেমন রক্ত শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে তেমনই কিন্তু কিডনি, ব্লাডার, পায়ের পাতা, ত্বকে, ভ্যাজাইনাতে বারবার সংক্রমণ ঘটায়। আর তাই বারবার ইউরিন ইনফেকশন হওয়া, কিডনি ইনফেকশন এসব কিন্তু শরীরে ডায়াবিটিসেরই লক্ষণ।
অনেকের শরীরেই বেশি ঘাম হয়। ঘামের সঙ্গে তৈরি হয় দুর্গন্ধও। বগলে, হাতে, হাতের তালুতে যদি প্রায়শই ঘাম হয় এবং সেখান থেকে জ্বালা চুলকুনি হয় তাহলে তা কিন্তু সুগার বাড়ারই লক্ষণ। এছাড়াও অনেকের মুখ থেকে গন্ধ ওঠে ,প্রায়শই ইউরিনে ইনফেকশন হয় তাঁরাও কিন্তু সম্ভবত ডায়াবিটিসে ভুগছেন। যৌনসঙ্গমের পর যাঁদের ভ্যাজাইনা অথবা ইউরিনের জায়গায় সমস্যা হয়, জ্বালা-চুলকানি থাকে তাঁরাও কিন্তু উচ্চ রক্ত শর্করার সমস্যায় ভুগছেন এমনটাই ধরে নেওয়া হয়। ত্বকে বেশি ঘাম এবং দুর্গন্ধ হলে সেখান থেকে ক্যানডিডা নামক এক প্রকার ছত্রাকের জন্ম হয়, যা গরম এবং আর্দ্র পরিবেশে আরও বাড়ে।
রক্তে শর্করার পরিমাণ যদি অজান্তেই বাড়তে থাকে তাহলে কিন্তু চাপ পড়ে কিডনিতে। আর যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে তাঁদের বেশিরভাগই সিস্টিটিস (cystitis) এর সমস্যায় ভোগেন। যা ইউরিন ইনফেকশনের (urinary tract infection)অন্যতম কারণ। রক্তে সুগার বাড়লেই এই সমস্যা বাড়ে। তখন কিন্তু চাপ পড়ে প্লাডারে। যে কারণে এই ধরণের সমস্যা থেকে অআগেভাগেই সতর্ক থাকুন। এর সঙ্গে যদি তলপেটে ব্যথা থাকে তাহলে এখনই সাবধান।
রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে কিন্তু পায়েও সমস্যা হয়। মূলত পায়ের পাতায় নানা রকম ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ হয়। সেখান থেকে আলসারের সমস্যা আসে। এছাড়াও কোনও ক্ষত হলে ঘা শুকোতে সময় লাগে। এসব কিন্তু হাই ব্লাড সুগারেরই লক্ষণ। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে এই সব সমস্যা আসবেই। যে কারণে সকলেরই নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা জরুরি।
আরও পড়ুন: Regular Health Checkup: নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্য পরূীক্ষা সবার জন্যই জরুরি! জানুন কারণ…