Regular Health Checkup: নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্য পরূীক্ষা সবার জন্যই জরুরি! জানুন কারণ…
Health Tips: আজকাল প্রত্যেকেই নানা সমস্যায় ভুগছেন। আর তাই নিজের শরীর বিষয়ে নিজেকেই সচেতন থাকতে হবে। অবহেলা করলে চলবে না
বেশ কয়েক বছর ধরে ত্বকের নানা সমস্যায় ভুগছিল অরূপ। কিন্তু কোনও দিনই ত্বকের সমস্যাকে সে পাত্তা দেয়নি। যতবার সবাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিত ততবারই সে নানা রকম হাসি-মশকরা করত। তার ধারণা ছিল অতিরিক্ত তেল মশলা খাবার জন্যি বোধ হয় এই সমস্যা। কিন্তু ত্বকের ছোট ফুসকুড়ি যখন ফোঁড়ার আকার নিল এবং যন্ত্রণা শুরু হল, তখন একদিন নিজেই ছুটল বিশেষজ্ঞের কাছে। সমস্যা তখন ছড়িয়ে গিয়েছে অনেক ভেতর পর্যন্ত। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে আরও একাধিক সমস্যাও।
বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষার পর দেখা গেল অরূপের কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, ব্লাড সুগার সবই বেশি। সেই সঙ্গে রয়েছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও। শুধু অরূপ নন, আমাদের চারপাশে এরকম মানুষ আরও অনেকে রয়েছেন। যাঁরা সামান্য জ্বর, পেটখারাপ, গ্যাস অম্বলের সমস্যাকে উপেক্ষা করে নিজেদের মত করে চিকিৎসা চালিয়ে যান। দীর্ঘমেয়াদি ফল হিসেবে এই অভ্যাস কিন্তু খুবই খারাপ। কারণ এই সমস্যা হতে পারে কোনও বড় রোগের লক্ষণ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তা চেপে গেলে সেখান থেকে সমস্যা আরও অনেক বেশি জটিল হয়। আর তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
আমরা এখন বিষাক্ত পৃথিবীতে বাস করছি। যেখানে নিত্য নতুন রোগ জ্বালা লেগেই রয়েছে। কোনও মানুষই কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ নন। এছাড়াও করোনার সমস্যাতো রয়েইছে। ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, ওবেসিটির মত সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। যে খান থেকে বাড়ে হৃদরোগের আশঙ্কা। আর তাই আগে থেকে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
কাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বেশি প্রয়োজন
আজকাল ২৭-৬০ সবারই স্বাস্থ্য পরীক্ষাকর প্রয়োজন। জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের কারণে খুব কম বয়সেই অনেক রকম সমস্যা আসছে। বংশগত রোগ-জ্বালা তো রয়েইছে এছাড়াও আজকাল বেশিরভাগই কম ঘুমে অভ্যস্ত। রাতে জেগে দিনে ঘুমোয়।সেই সঙ্গে মানসিক চাপ তো আছেই। সব মিলিয়ে কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপের সমস্যা, ওজন বাড়া সবই রয়েছে। এই সবের মিলিত ফল হল হৃদরোগ। আগে থেকে পরীক্ষা করালে আপনি নিজে যেমন সুস্থ থাকবেন তেমনই কিন্তু টাকাও বাঁচবে। এছাড়াও আরও যে সব সুবিধা আপনি পাবেন-
আগে থেকে সতর্ক থাকা- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালে জটিল কোনও রোগ যদি হয়ে থাকে তা আগেই ধরা পড়ে। যেমন ক্যানসার কিংবা কিডনির কোনও সমস্যা। ফলে আগে থেকেই চিকিৎসা শুরু করা যায়। নিজেও সতর্ক থাকবেন সেই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থাকে।
অযথা জটিলতা হবে না- কোনও রোগ সমস্যা ফেলে রাখলে সেখান থেকে জটিলতা বাড়ে। শরীরের মধ্যে কোনও অস্বস্তি দীর্ঘদিন ধরে চেপে রাখা ভাল নয়। আগে থেকে পরীক্ষা হলে এবং ওষুধ পড়লে কিন্তু আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়্ে যাবেন।
আয়ু বাড়ে- সুদীর্ঘ নিরোগ থাকতে কে আর না চায়! যে কারণে এই সব স্বাস্থ্য পরীক্ষাও কিন্তু ভীষণ জরুরি। চেক আপ করালে আপনি মনের দিক থেকে থাকবেন নিশ্চিন্ত। সেই সঙ্গে চিকিৎসকও আপনাকে সুপরামর্শ দেবেন। এতে আপনিই থাকবেন মানসিক ভাবে সুস্থ।
অনেকেরই পরিবারের ইতিহাসে বিভিন্ন রোগ-সমস্যা থাকে। তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু প্রথম থেকেই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। রুটিন চেকআপ অবশ্যি করাবেন। তাহলে ভবিষ্যতে অনেক রকম সমস্যা থেকে থাকবেন মুক্ত।
আরও পড়ুন: Omicron: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে কাদের সংক্রমণের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?