Ancient Herbs: মিষ্টি এই ভেষজের গুণে লুকিয়ে হাফ ডজন রোগের দাওয়াই, জানুন কী ভাবে কাজে লাগাবেন
Yashtimadhu: যষ্ঠিমধু হল বিশ্বের প্রাচীন ভেষজ। যার ইংরেজি অর্থ Liquorice। প্রাকৃতিক ভাবেই যষ্ঠিমধু মিষ্টি। কিন্তু এর মধ্যে ফ্যাট , কার্বোহাইড্রেট, শর্করা এবং ফাইবার থাকে কম পরিমাণেই
প্রাচীন কাল থেকেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ভীষণ রকম পরিচিত নাম এই যষ্ঠিমধু। এখনও বেশ কিছু ওষুধ তৈরিতেও কাজে লাগানো হয় এই ভেষজকে। অনেক সময় বাড়ির বাগানে নিজে থেকেই হয়ে থাকে এই গাছ। কিন্তু মুশকিল হল, অধিকাংশেরই এই গাছের সঙ্গে কোনও পরিচয় নেই। তবে এই গাছের আছে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা। যষ্ঠিমধুর গাছে একরকম ছোট সাদা ফুল হয়। যা দেখতে সুন্দর এবং কার্যগুণও অনেক। এই যষ্ঠিমধুর মূল বা শেকড়ই মূলত কাজে লাগানো হয় আর্য়ুবেদ চিকিৎসায়। একাধিক রোগের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে প্রাচীন এই ভেষজ। আর তাই যষ্ঠিমধু হল বিশ্বের প্রাচীন ভেষজ। যার ইংরেজি অর্থ Liquorice। প্রাকৃতিক ভাবেই যষ্ঠিমধু মিষ্টি। কিন্তু এর মধ্যে ফ্যাট , কার্বোহাইড্রেট, শর্করা এবং ফাইবার থাকে কম পরিমাণেই। ক্যালোরির ভাগ বেশি। তবু এই ক্যালোরি কিন্তু আমাদের শরীরের কোনও ক্ষতি করে না। বরং একাধিক উপকারে লাগে। চিনির ভাগ বেশি থাকলেও ডায়াবেটিক রোগীরা খেতে পারেন নির্ভয়ে। কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না।
জেনে নিন যষ্ঠিমধুর একগুচ্ছ উপকারিতা-
প্রাচীন কাল থেকেই ভেষজ চিকিৎসায় যষ্টিমধু ব্যবহার হয়ে আসছে। চিন এবং মধ্যপ্রাচ্যে শ্বাসকষ্টের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় যষ্ঠিমধু। গ্রীকরা আবার হজমের সমস্যায় খেতেন এই মধু।
ত্বকের জন্য ভাল- যষ্ঠিমধুর মধ্যে ৩০০ টিরও বেশি যৌগ রয়েছে। যার মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি গুণে ভরপুর। তাই ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহ, একজিমা, সোরিয়াসিস এবং ছত্রাকের সমস্যায় ব্যবহার করা হয় এই ভেষজ।
বদহজমের সমস্যায়- আজকাল গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। এই ঘন ঘন পেটব্যথা, বমি ভাব, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানে বেশ কার্যকরী এই ভেষজ।
আলসার- সাধারণত পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া এই পেপটিক আলসারের জন্য দায়ী। খাদ্যনালী এবং ক্ষুদ্রান্তের মধ্যে যে আলসার হয় তা রুখতেও কার্যকরী এই প্রাচীন ভেষজ।
রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়- যষ্ঠিমধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। যা শরীর থেকে ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে। ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। সামগ্রিক ভাবে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ক্যাভিটির সমস্যায়- আজকাল দাঁতও আমাদের কম ভোগায় না। এই দাঁতের সমস্যা দূর করতেও কিন্তু কার্যকরী যষ্ঠিমধু। দাঁতে ক্যাভিটির সমস্যা হলে দাঁত আর মাড়িতে ব্যথা করে। সংক্রমণেরও সম্ভাবনা থেকে যায়। যষ্টিমধুতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাঁতকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব থেকে মুক্ত করে।
হেপাটাইটিস সি এর চিকিৎসায়- হেপাটাইটিস সি লিভারের খুব জটিল অসুখ। সময়মতো চিকিৎসা না করালে জীবনহানি হতে পারে। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়মও। এই সমস্যায় ডায়াবেটিস এবং ওজন কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা বাধ্যতামূলক।
কী ভাবে খাবেন এই যষ্ঠিমধু
যষ্ঠিমধুর গুঁড়ো পাওয়া যায় , তা জলে ভিজিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া এর শেকড় থেঁতো করে জলে ভিজিয়ে বা চা এর মধ্যে দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আবার কোনও হেলথ ড্রিংকের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। যষ্ঠিমধুর চা বানিয়ে নিন এইভাবে। প্রথমে শেকড় ভাল করে ধুয়ে নিয়ে থেঁতো করে জলে ফেলে ফোটান ১০ মিনিট। এবার ওর মধ্যে আদা আর দারুচিনি থেঁতো করে দিয়ে আরও ২ মিনিট ফোটান। এবার তা বন্ধ করে চা পাতা দিন। অন্তত ১৫ মিনিট ঢেকে রাখার পর কাপে ছেঁকে নিন। অতিরিক্ত চিনি দেবেন না। রোজ এই চা খেতে পারলে অনেক উপকার পাবেন।