AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Coronavirus: করোনার জেরে নিঃশব্দে বাড়ছে স্নায়ুরোগ, বাড়ছে পার্কিনসন্সের প্রবণতা

Coronavirus: এই রোগের কারণে স্নায়ুকোষ মারা যেতে পারে। যার জেরে সমস্ত স্নায়বিক কার্যকলাপেই ব্য়াহত হয়।

Coronavirus: করোনার জেরে নিঃশব্দে বাড়ছে স্নায়ুরোগ, বাড়ছে পার্কিনসন্সের প্রবণতা
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2022 | 8:20 AM
Share

কলকাতা: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় দফার পর এবার গোটা রাজ্যে আছড়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ(Fourth Wave of Coronavirus)। টিকা নিয়েও মারণ করোনার চওড়া থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না আম-আদমি। অনেকেই একাধিকবার আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়(Coronavirus)। এদিকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তা থেকে মুক্ত হলেও সংক্রমণের দীর্ঘস্থায়ী ছাপ যে শরীরে রয়ে যাচ্ছে সে কথা আগেই বলেছিলেন চিকিৎসকরা। এমনকী একাধিকবার করোনার কবলে পড়লে রয়েছে মহা বিপদ। কিন্তু, বর্তমানে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের কথায় বাড়ছে আরও চিন্তা। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর পার্কিনসন্স রোগ(Parkinson’s disease) হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। যাঁরা সামান্য পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত ছিলেন তাঁদের পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে করোনা। সবমিলিয়ে করোনা স্নায়ু রোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে নিঃশব্দে! এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশিষ্ট স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞ হৃষিকেশ কুমার। আর তাতেই বাড়ছে চিন্তা। উদ্বেগ বেড়েছে পার্কিনসন্স আক্রান্ত রোগীর পরিবার-পরিজনদের মধ্যেও। এদিকে করোনা যে গতিতে ঢেউয়ের পর ঢেউ তুলছে তাতে এই মারণ ভাইরাস কবে চিরতরে বিদায় নেবে পৃথিবী থেকে তা কেউ বলতে পারছেন না। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণা বলছে, মূলত ষাট বছরের বেশি বয়সী মানুষদের মধ্যেই পার্কিনসন্সের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এই রোগের কারণে স্নায়ুকোষ মারা যেতে পারে। যার জেরে সমস্ত স্নায়বিক কার্যকলাপেই ব্য়াহত হয়। হাত-পায়ে আচমকা কম্পন, হাঁটাচলার গতি কমে যাওয়া, পেশি শক্ত হয়ে যেতে দেখা যায়। এমনকী অনেকেরই কথা বলার সময় তা জড়িয়ে যেতেও দেখা যায়।

কিন্তু, কীভাবে জানা গেল পার্কিনসন্সের বাড়বাড়ন্তের সঙ্গে করোনার সম্পর্কের কথা? সম্প্রতি “মুভমেন্ট ডিসর্ডার ” শীর্ষক এক আলোচনায় স্নায়ু রোগ নিয়ে আলোচনাতেই উঠে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্বলতা-মনখারাপ বাড়ছে করোনা পরবর্তী অবস্থায়। বাড়ছে কাজে অনীহা, অলসতার মাত্রাও। কমছে শারীরিক শক্তি, হারিয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিক উদ্দীপনা। শরীরে পিছনের দিকে যন্ত্রণার মাত্রাও অনেকাংশেই বাড়ছে। একইসঙ্গে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাতেও আঘাত আসছে। সবমিলিয়ে স্নায়ু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে করোনার কারণে। চিকিৎসক হৃষিকেশ কুমার বলেন, “মস্তিষ্কে জটিলতা তৈরী হচ্ছে পোস্ট কোভিডে।.সামান্য স্নায়ু রোগে আক্রান্তদের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যাচ্ছে।” তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।