Malaria Prevention: শিশুদের ম্যালেরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৭০% কমল, কী জানা গেল এই গবেষণায়?
ম্যালেরিয়া বছরে ৪,০০,০০০ এরও বেশি মানুষকে মেরে দেয়। যার বেশিরভাগই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু হয়।
সাব-সাহারান আফ্রিকায় একটি গবেষণায় ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে বিদ্যমান ওষুধ ব্যবহার করে বেশ ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে। নতুন উপায়ে ওষুধ ব্যবহার করে শিশুদের মধ্যে এই পরজীবী রোগের সংক্রমণের ক্ষেত্র প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি পরিমাণে কমানো সম্ভব হয়েছে।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে গবেষণার নাটকীয় ফলাফলগুলি প্রকাশিত হয়েছিল। এই আশ্চর্য ফলাফল গুলি বর্ষা আসার আগে অ্যান্টি -ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিনের বুস্টার শটগুলিকে প্রতিরোধমূলক ওষুধের সঙ্গে মেশানোর ফলে এসেছে।
ম্যালেরিয়া বছরে ৪,০০,০০০ এরও বেশি মানুষকে মেরে দেয়। যার বেশিরভাগই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু হয়।
গবেষণাপত্রের সিনিয়র লেখক, লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ব্রায়ান গ্রিনউড বলেছেন যে দলের সদস্যরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে তাদের সুপারিশগুলি আপডেট করার বিষয়ে যোগাযোগ করেছিলেন।
গ্রিনউড বলেন, “ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জিএসকে দ্বারা তৈরি RTS,S ভ্যাকসিনটি ২০ বছরেরও বেশি আগে তৈরি করা হয়েছিল। ম্যালেরিয়া উপশমে এই ওষুধ খুব বেশি কার্যকর নয়।”
এর আগের গবেষণাগুলিতে দেখা গেছিল যে ভ্যাকসিনের সুরক্ষাপ্রদানের ক্ষমতা সময়ের সঙ্গে কমতে থাকে। এটি তিন থেকে চার বছরের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ কার্যকারিতা প্রদান করতে পারে।
যেহেতু ম্যালেরিয়া সাহেল এবং সাব-সাহেল অঞ্চলে অত্যন্ত সিজনাল, তাই দলটি প্রতিবছর বর্ষার আগে বুস্টার দেওয়া যায় কিনা তা পরীক্ষা করতে চেয়েছিল। এই সময় যখন মশার সংখ্যা বেড়ে যায় তখন ফলাফল উন্নততর হবে বলেই আশা করা হয়েছিল।
তিন বছর ধরে বুর্কিনা ফাসো এবং মালি থেকে ৫ মাস থেকে ১৭ মাসের প্রায় ৬,০০০ শিশুকে নিয়ে এই গবেষণা শুরু করা হয়।
শিশুদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল। একটা দলকে শুধুমাত্র ম্যালেরিয়া-বিরোধী ওষুধ সালফাদক্সিন-পাইরিমেথামাইন এবং অ্যামোডিয়াকুইন দেওয়া হয়েছিল, অন্য একটা দলকে শুধুমাত্র RTS, S ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল এবং আরেকটি দলকে এই দুইয়ের মিশ্রণ দেওয়া হয়েছিল।
সংমিশ্রণটি যাদের দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে ম্যালেরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৩% কম ছিল। হাসপাতালে ভর্তির হার ৭১ শতাংশ কম ছিল। আর মৃত্যুর মাত্রা ৭৩ শতাংশ কম ছিল।
গ্রিনউড অনুমান করেছিলেন যে বুস্টার ভ্যাকসিনের ডোজ এবং অ্যান্টি -ম্যালেরিয়ার ওষুধের সংমিশ্রণ ম্যালেরিয়া রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা এবং মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৯০ শতাংশ কমাতে সক্ষম।
শিশুরা প্রথমে তাদের সিস্টেমে প্রাইম করার জন্য ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ পাবে। তারপর প্রতি বছর একটি করে বুস্টার যোগ করা হবে। এই পদ্ধতি একটি পার্টিক্যালের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে যা প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম পরজীবীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রশিক্ষণ দেয়।
ম্যালেরিয়া বিরোধী ওষুধ প্রতি চার মাস ছাড়া এক মাসে তিন দিন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: একটানা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য কোন কোন বিষয়গুলির দিকে খেয়াল রাখা জরুরি