Sustainable Living: একটানা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য কোন কোন বিষয়গুলির দিকে খেয়াল রাখা জরুরি
স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারার জন্য এই পৃথিবীর স্বাস্থ্যের কথা আমাদের ভাবতেই হবে। সঙ্গে আমাদের এই খেয়ালও রাখতে হবে যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তাদের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে বিশেষ আফসোস না করতে হয়।
সাস্টেনেবেল আর ইকো ফ্রেন্ডলি হওয়া হল পরিবেশ রক্ষার সহজ উপায়। আমরা প্রতিদিন যে যে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি তা পরিবেশ, জলবায়ু এবং অন্যান্য জিনিসের উপর প্রভাব ফেলে। আমরা অনেকেই হয়তো এটা উপলব্ধি করতে পারি না। খুব সহজ উদাহরণ দিলে, যেকোনো সময় আপনি কোথাও গাড়ি চালাতে চালাতে গাড়ির থেকে কোনও বস্তু বাইরে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। এছাড়াও ইলেকট্রনিক বস্তু সারা রাত প্লাগ করে রেখে দিলেও পৃথিবীতে খারাপ প্রভাব পড়ে। এই ধরনের কাজের প্রভাব সঙ্গে সঙ্গেই চোখে নাও পড়তে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে, এগুলর খুব খারাপ পরিণতির সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারার জন্য এই পৃথিবীর স্বাস্থ্যের কথা আমাদের ভাবতেই হবে। সঙ্গে আমাদের এই খেয়ালও রাখতে হবে যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তাদের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে বিশেষ আফসোস না করতে হয়।
রিসাইকেলেবল বিকল্পগুলি বেছে নিন:
প্লাস্টিক প্রোডাক্টগুলি আমাদের আশেপাশের পরিবেশের বিশেষ ক্ষতি করে। রিসাইকেলেবেল বিকল্পগুলি বেছে নিয়ে আমরা এই ব্যাপারকে আটকাতে পারি। শাকসবজি কেনার জন্য কাপড়ের ব্যাগ, রিসাইকেলেবেল রান্নাঘরের টাওয়েল, কম্পোস্টেবল আবর্জনার ব্যাগ, রিসাইকেলেবেল কফির কাপ আর টিস্যুর পরিবর্তে কাপড় ব্যবহার, এভাবে ছোট ছোট উপায়ে আমরা শুরু করতে পারি। এগুলি আপনাকে কেবল পরিবেশই নয়, অর্থও বাঁচাতে সাহায্য করে।
আপনার অপচয় কমিয়ে দিন:
সাস্টেনেবেল জীবনধারার পথের এটি একটি বড় পদক্ষেপ। খাদ্য বর্জ্য থেকে প্লাস্টিক, আমরা যা ফেলে দেই তাই সম্পদের অপচয়। শূন্য বর্জ্যের লক্ষ্য নিয়ে কোনও কাজ শুরু করা গেলে টা আমাদের গঠনমূলক আগামী তৈরি করতে বিশেষ সাহায্য করবে। রিচার্জেবল ব্যাটারি, রিসাইকেলেবেল জলের বোতল এবং শপিং ব্যাগ বেছে নিন।
আপনার নিজের উৎপাদন বাড়ান:
বারান্দায় কিংবা বাগানে ফল এবং সবজি চাষ করে আপনি এটুকু নিজে বুঝে যেতে পারেন যে আপনি কীটনাশক ব্যবহার করছেন না। এই কীটনাশক জল আর বায়ু দূষণে বিস্তর অবদান রাখে। এর জন্য আপনার বিস্তর জমির প্রয়োজন নেই। জানালার বাক্স, করিডোর বা আপনার উঠোনের কোণায় মাত্র কয়েক বর্গফুট জায়গাতেই সবজি, ফল এবং ভোজ্য গাছপালার চাষ করা যেতে পারে। এটি বাজার থেকে প্লাস্টিকে করে সবজি বা ফল আনার প্রবণতাও কমাতে সক্ষম হবে, ফলে পরিবেশেের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে।
ইকো ফ্রেন্ডলি প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন:
সাস্টেনেবেল জীবনযাপনের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল প্রতিদিন বাঁশের টুথব্রাশ ব্যবহার করা। স্থানীয় ফার্মার মার্কেট কিংবা ইকো ফ্রেন্ডলি দোকান থেকে সবজি কিনুন। একটি নতুন ওয়াশিং মেশিন বা রেফ্রিজারেটর কেনার সময় যথাযথ ব্যবহার জেনে নিন, যাতে বর্জ্য জমাট না বেঁধে যায়।
আরও পড়ুন: পুজোতে বেড়ানোর প্ল্যান করেছেন? ইমিউনিটি বৃদ্ধির কৌশল জানুন এখানে…