কোলেস্টেরল (Cholesterol) দুই ধরনের, ভালো এবং খারাপ। কোষের সুস্থ গঠনের জন্য শরীরের ভালো কোলেস্টেরল (Good Cholesterol) প্রয়োজন, আবার খারাপ কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি শরীরে নানা রোগের কারণ হতে পারে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, যার ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। ভালো কোলেস্টেরলকে হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (HDL) বলা হয়। এই খারাপ কোলেস্টেরলকে শোষণ করে এবং শরীরকে সুস্থ (Health Care) রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এটি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের (Heart Health) ঝুঁকি কমাতে পারে। এর অর্থ হল যে শরীরে এর সঠিক মাত্রা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি খারাপ কোলেস্টেরল (Bad Cholesterol) দূর করতে পারে।
পুষ্টিবিদ পূজা মালহোত্রা তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে কীভাবে ভাল কোলেস্টেরল আপনার জন্য উপকারী এবং শরীরে এটি বাড়ানোর জন্য কী করা উচিত। তিনি বলেছেন যে ভাল কোলেস্টেরল মূলত জেনেটিক কারণ দ্বারা নির্ধারিত হয়, তবে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এর মাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
-শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত জিনিস খাওয়া উচিত। আপনার খাদ্যতালিকায় বাদাম, বীজ, ফ্যাটযুক্ত মাছ, সর্ষের তেল, জলপাই, অ্যাভোকাডো এবং অন্যান্য জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন।
-প্রতিদিন ব্যায়াম করলে শরীরের অনেক উপকার হয়। আপনি ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে ব্যায়াম করতে পারেন। আপনি অ্যারোবিক ব্যায়াম, হাই ইনটেনসিটি ওয়ার্কআউট এবং স্ট্রেনথ টেনিং ইত্যাদি করতে পারেন।
-পূজা জানিয়েছেন যে, শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে চাইলে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। আসলে এই খারাপ অভ্যাস আপনার রক্তে ভালো কোলেস্টেরল কমাতে পারে। বাড়াতে পারে এলডিএল-এর মাত্রা। যার ফলে বৃদ্ধি পাবে হৃদরোগের ঝুঁকি।
-আপনার খাদ্যতালিকায় বেগুনি রঙের ফল ও সবজি যেমন বেগুন ইত্যাদি রাখুন। এই জিনিসগুলিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে।
– ট্রান্স ফ্যাট ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড নামেও পরিচিত। প্রচলিত ভাষায় একে বলা হয় চর্বি। ক্রিম দিয়ে তৈরি জিনিসে এটি বেশি পাওয়া যায়। এটি খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ভাল কোলেস্টেরল কমায় বলে বিশ্বাস করা হয়। তাই এমন কোনও খাবার খাবেন না যেটায় এই ফ্যাট রয়েছে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: এক মাসের মধ্যে ঝরবে মেদ আর দূর হবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা! কীভাবে জানেন?
আরও পড়ুন: শরীর ক্লান্ত থাকলেও সহজে ঘুম ধরতে চায় না? প্রতিদিন এই ৩টি যোগাসন ট্রাই করুন