AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cause Of Obesity: বেশি খাওয়া মানেই ওবেসিটি নয়! তাহলে আসল কারণ কী?

গবেষকদের দাবি, অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার কারণে স্থূলতার প্রধান কারণ হতে পারে না। কার্বোহাইড্রেট-ইনসুলিন মডেল অনুসারে, বর্তমানে স্থূলতা মহামারীর আকার ধারণ করেছে।

Cause Of Obesity: বেশি খাওয়া মানেই ওবেসিটি নয়! তাহলে আসল কারণ কী?
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2021 | 9:56 AM
Share

আধুনিক যুগে ওবেসিটি কোনও অচেনা রোগ নয়। হৃদরোগ, স্ট্রোক, টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়তে ওবেসিটি বা স্থূলতার সম্পর্ক যে নিবিড়, তা বলাই বাহুল্য। গবেষণা দেখা গিয়েছে, সাধারণ ওজন হ্রাসের ,সঙ্গে স্থূলতার সম্পর্কিত নানা স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি বিকাশের সম্ভাবনা হ্রাসপেতে থাকে। কিন্তু ওজন কমানোর সেরা উপায় কী?

মার্কিন ডায়েটারি গাইডলাইনসে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ওজন কমাতে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ খাদ্য ও পানীয় থেকে প্রাপ্ত ক্যালোরির সংখ্যা হ্রাস করতে হবে। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, ইনার্জি ব্যালান্স মডেলের জন্য কার্বহাইড্রেট-ইনসুলিনের মডেলকে দায়ী করা যায় না। গবেষকদের দাবি, অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার কারণে স্থূলতার প্রধান কারণ হতে পারে না। কার্বোহাইড্রেট-ইনসুলিন মডেল অনুসারে, বর্তমানে স্থূলতা মহামারীর আকার ধারণ করেছে। আধুনিক খাদ্যতালিকার পদ্ধতিগুলির কারণে ঘটে থাকে। উচ্চ গ্লাইসেমিক উপাদানযুক্ত খাবারের অতিরিক্ত ব্যবহারের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেটকে দায়ী করা যায়।

ওই জার্নালে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের ফলে শরীরে ইনসুলিন নিঃসরণ হয়। তাতে গ্লুকাগন নিঃসরণ হ্রাস পায়। তার জেরে কোষে চর্বি ও ক্যালোরি জমতে শুরু করে। ক্যালোরি সঞ্চয় হতে থাকা মানেই শরীরে পেশী ও অন্যান্য বিপাকীয় সক্রিয় টিস্যুগুলি কম ক্যালোরি বার্ন করে। শরীরের পর্য়াপ্ত শক্তি পেতে বারবার খিদে পায়। এছাড়া এর কারণে বিপাকতন্ত্রের কাজকর্মও ধীর গতিতে চলতে শুরু করে। আমরা যত বেশি খালি পেটে থাকি, অভুক্ত থাকি, তাতে অতিরিক্ত চর্বি শরীরে জমা হতে থাকে। আর তাতেই স্থৃলতার লক্ষণ দেখা যায়।

গবেষকরা জানিয়েছে, আমরা প্রতিদিন কতটা খাচ্ছি, যে খাবারগুলো খাই, সেগুলি হরমোন ও বিপাককে কতটা প্রভাবিত করছে তা নজর রাখা দরকার। কারণ অনেকেই মনে করেন কম খেলে শরীরের মেদ ঝরে যায়। এটা ভুল ধারণা। কম খাওয়ার চেয়ে কী খাচ্ছেন তা নজর রাখা উচিত।

আরও পড়ুন: Power Nap: দিনের বেলায় ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপযুক্ত?