Dry skin on a Baby: শিশুর শুষ্ক ত্বক নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন কীভাবে যত্ন নেবেন আপনার নবজাতকের!
শিশুদের মধ্যে এই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা বেশি, এর কারণ শিশুদের ত্বক প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল। সুতরাং সেই ভাবেই যত্ন নিতে হবে শিশুর ত্বকের। ত্বকে শিশুদের ত্বকের সমস্যা দেখা যাওয়ার পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে।
জন্মের পর অনেক শিশুর মধ্যে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দেখা যায়। এটা খুব সাধারণ। জন্মের পরই শিশুর গা থেকে চামড়া উঠতে থাকে, অনেক শিশুর লাল র্যাশের সমস্যাও দেখা যায়। এই সমস্যাগুলি শিশুদের মধ্যে কোনও ক্ষতি করে এবং এগুলি কোনও রকম চিকিৎসা ছাড়াই সময়ের সঙ্গে ঠিক হয়ে যায়।
এটাও ঠিক যে শিশুদের মধ্যে এই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা বেশি, এর কারণ শিশুদের ত্বক প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল। সুতরাং সেই ভাবেই যত্ন নিতে হবে শিশুর ত্বকের। ত্বকে শিশুদের ত্বকের সমস্যা দেখা যাওয়ার পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে।
একটি শিশু যখন পৃথিবীতে জন্ম নেয়, তখনও অবধি সে পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে উঠতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে এই জলবায়ুর জন্য শিশুদের মধ্যে ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। যখন একটি ভ্রূণ গর্ভের মধ্যে থাকে, তখন সেখানে তাকে ঘিরে রাখে অ্যামনিয়টিক তরল, যার ফলে শিশুর ত্বক এক্সফোলিয়েট করে না। অন্যদিকে, ভার্নিক্সের একটি মোমের প্রলেপ ভ্রূণের ত্বককে আচ্ছাদিত করে রাখে। তাই জন্মের দু থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত নবজাতকের মধ্যে চামড়া উঠতে থাকে।
এটা বিষয়টা সব শিশুদের ক্ষেত্রেই খুব সাধারণ। কিন্তু এমনও অনেক কারণ রয়েছে যার জন্য শিশুর ত্বক শুষ্ক এবং সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। অনেক বাবা মায়েদের মধ্যে শিশুকে গরম জলে স্নান করানোর প্রবণতা রয়েছে। প্রতিদিন গরম জলে স্নান করালে শিশুর ত্বকের মধ্যে থাকা তেল ধুয়ে যায়। এর ফলে শিশুর ত্বক শুষ্ক ও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। তাই চেষ্টা করুন শিশুকে প্রতিদিন স্নান না করানোর। প্রয়োজনে উষ্ণ গরম জল ব্যবহার করুন কিংবা গরম জলে কোনও কাপড়কে ভিজে হালকা হাতে শিশুর ত্বক পরিষ্কার করে দিন। কোনও ভাবেই ত্বকের ওপর প্রেসার প্রয়োগ করবেন না।
অনেক সময় বাড়ির ও বাইরের শীতল আবহাওয়ার জন্য শিশুর ত্বক ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। এর জন্যও শিশুদের মধ্যে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। গবেষণা বলছে, শিশুকে হাইড্রেট রাখার সর্বোত্তম উপায় হয় মায়ের বুকের দুধ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর মতে, ছয় মাস বয়স অবধি শিশুকে শুধুই স্তন্যপান করানো উচিত।
এছাড়ার জন্মের পর থেকে অনেকেই শিশুর ত্বকে লোশন, ময়েশ্চারাইজার এবং তেল প্রয়োগ করেন। এই বিষয়ের ওপরও খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত ভাবে এগুলি শিশুর ত্বকে প্রয়োগ করবেন না। প্রয়োজনে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল দিনে এক থেকে দু বার প্রয়োগ করতে পারেন যদি আপনার শিশুর ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়। শিশুর জন্য লোশন ও ময়েশ্চারাইজার কেনার সময় ভাল করে লেবেল পড়ে দেখে নিন যে তাতে কোনও রকম অ্যালকোহল নেই। কারণ অ্যালকোহল আপনার শিশুর ত্বককে ক্ষতি করতে পারে।
আরও পড়ুন: আপনার শিশুর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে চান? খেয়াল রাখুন এই কয়েকটি বিষয়!