Lung Cancer: ধূমপান করেন না? তাতেও আপনার ফুসফুসে বাসা বাঁধতে পারে ক্যান্সার!
বেশির ভাগ মানুষের ধারণা যে, ধূমপান করলেই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হব। কিন্তু কারণটা শুধু তাই নয়। যে কোনও মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন।
ফুসফুসের ক্যান্সার হল এমন একটি রোগ যা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর মতে প্রতি বছর সারা বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সারের আক্রান্ত হন এবং তাদের মধ্যে ১.৭৬ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে মারা যান। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে, সচেতন না হলে সমস্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।
বেশির ভাগ মানুষের ধারণা যে, ধূমপান করলেই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হব। কিন্তু কারণটা শুধু তাই নয়। যে কোনও মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। ফুসফুসের কোষগুলি যখন মিউটেট হয় বা পরিবর্তন ঘটে তখনই দেখা দেয় এই মারণ রোগ। এই মিউটেশন ঘটার পিছনে অনেক গুলি কারণ রয়েছে।
বেশির ক্ষেত্রে, আপনি যদি দূষিত বায়ুতে নিঃশ্বাস নেন, তাহলে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার। এমনকি আপনি যদি বহু বছর আগেও কোনও বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে এসে থাকেন, তাতেও আপনার মধ্যে তৈরি হবে ক্যান্সারের ঝুঁকি। এই বিষাক্ত পদার্থের মধ্যে অনেক কিছুই থাকতে পারে, যার মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে সিগারেট।
ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ ঝুঁকি রয়েছে ধূমপানের ক্ষেত্রে। আপনি যদি ধূমপান করে থাকেন তাহলে এটা শুধুমাত্র আপনার মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে তা নয়, এমনকি আপনার আশেপাশে থাকা মানুষরাও আপনার সিগারেটের ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আপনার সিগারেটের ধোঁয়ায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। এমনকি আপনি যদি সিগারেট খাওয়া ছেড়েও দেন, তাহলেও পরবর্তীকালে সম্ভাবনা থেকেই যায় ক্যান্সারের। তাই চেষ্টা করুন ধূমপান পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়ার।
র্যাডন এক্সপোজার ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান একটি কারণ। র্যাডন হল একটি বর্ণহীন, গন্ধহীন তেজস্ক্রিয় গ্যাস, যা মাটিতে প্রাকৃতিকভাবেই বিদ্যমান। এটি মাটির মধ্য দিয়ে উঠে আসে এবং ছোট ফাঁক বা ফাটলের মাধ্যমে বাড়ির মধ্যে বা যে কোনও জায়গায় প্রবেশ করে। এই র্যাডন আপনার ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অন্যদিকে, সিগারেটের ধোঁয়ার সঙ্গে মিশে এই র্যাডন ফুসফুসে ক্যান্সার সৃষ্টি করে।
এছাড়াও কিছু বিপজ্জনক রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে। অ্যাসবেস্টস, ইউরেনিয়াম, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, নিকেল এবং কিছু পেট্রোলিয়াম পণ্যের মতো উপকরণ গুলির সঙ্গে কাজ করা বিশেষভাবে বিপজ্জনক। আপনি যদি মনে করেন আপনার কর্মক্ষেত্রে এই সব বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসছেন, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন।
ফুসফুসের ক্যান্সারের পিছনে জেনেটিক কারণগুলিও দায়ী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পরিবারের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে তা পরবর্তী প্রজন্মকেও প্রভাবিত করতে পারে। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক হয়ে যান এবং চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন।
আরও পড়ুন: কী কী উপসর্গ দেখে বুঝবেন নিশ্চুপে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপনার ফুসফুস!