Sleep: রোজ রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না? কমতে পারে আয়ু, এমনটাই বলছে গবেষণা

সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, ডায়েটও মেনে চলেন। ব্যস্ত জীবনযাত্রা থেকে নিজের জন্য বার করে নেন সময়, যাতে মন ভাল থাকে। কিন্তু এই ব্যস্ততার দৌড়ে মাত্র পাঁচ ঘণ্টা ঘুমান? এখানেই আপনার সারাদিনের পরিশ্রম জলে যেতে পারে।

Sleep: রোজ রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না? কমতে পারে আয়ু, এমনটাই বলছে গবেষণা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2021 | 2:27 PM

দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, ডায়েটও মেনে চলেন। ব্যস্ত জীবনযাত্রা থেকে নিজের জন্য বার করে নেন সময়, যাতে মন ভাল থাকে। কিন্তু এই ব্যস্ততার দৌড়ে মাত্র পাঁচ ঘণ্টা ঘুমান? এখানেই আপনার সারাদিনের পরিশ্রম জলে যেতে পারে।

গবেষণা বলছে, যে সব মানুষ সাত ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের আয়ু কমে। তার সঙ্গে দেখা দেয় হাজার একটা রোগ। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে মানসিক এবং শারীরিক উভয় ধরনের সমস্যাই দেখা দেয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের দিনে অন্তত ৯ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের ওষুধ খেয়ে নয়, এই ঘুম হওয়া চাই স্বাভাবিক।

আপনার অনাক্রমতাকে বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজন ঘুম। একাধিক গবেষণা দাবি জানাচ্ছে যে, শরীরে কোনও অসুস্থতা দেখা দিলে সেখানে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এক মাত্র ঘুমের মাধ্যমে আপনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পারেন। অন্যথায়, যদি সারাদিন পরিশ্রম করেন এবং শরীর যদি বিশ্রাম না পায় তাহলে আপনি কোনও কারণ ছাড়াই অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে যে  স্বল্প ঘুমের সময়কাল (প্রতি রাতে ৫ ঘণ্টার কম ঘুম) এবং দীর্ঘ ঘুমের সময়কাল (প্রতি রাতে ৯ বা তার বেশি ঘণ্টার ঘুম) উভয়ই হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বিশেষত, কম ঘুমের সাথে আপনার করোনারি হৃদরোগ বা স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়।

sleeping

প্রতীকী ছবি

একই ভাবে আরেকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কম ঘুমের কারণে স্তন ক্যান্সার, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার, এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যারা নাইট শিফটে কাজ করেন তাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এমনকি ডায়বেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রেও দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম।

এক্সপেরিমেন্টাল ব্রেন রিসার্চ দ্বারা প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কম ঘুমের ফলে প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কেও। মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় এর ফলে। কম ঘুমের ফলে কোনও কাজ সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয় না, অন্যদিকে নানান রকমের মানসিক চিন্তার হার বেড়ে যায়। স্মৃতিশক্তি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, যুক্তি এবং সমস্যা সমাধান সহ মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপগুলি প্রতিক্রিয়ার সময় এবং সতর্কতার সঙ্গে আরও খারাপের দিকে যেতে শুরু করে।

কম ঘুমের জন্য হ্রাস পেতে পারে যৌন আকাঙ্ক্ষা। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কম ঘুমের কারণে পুরুষদের মধ্যে টেস্টোরনের মাত্রা হ্রাস পায়, একই সঙ্গে শরীর থেকে হ্রাস পায় যৌন উদ্দীপক হরমোনের মাত্রা। তার সঙ্গে মেজার খিটখিটে হয়ে যায়। এছাড়াও পুরুষ ও মহিলা উভয়দের মধ্যে দেখা দিতে পারে ব্রণ, র‍্যাশ সহ একাধিক ত্বকের সমস্যা। তার সঙ্গে বাড়তে পারে ওজনও। তাই চেষ্টা করুন ৯ ঘণ্টা ঘুমনোর।

আরও পড়ুন: দিনের বেলায় ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপযুক্ত?