Food allergy: চিংড়ি, বেগুন খেলেই অ্যালার্জি? কেন এমন হয় জানেন কি!
Food sensitivity test: অ্যালার্জির সমস্যা হলে সেখান থেকে মৃত্যুও হতে পারে। যদি না সঠিক সময়ে সচেতন হন। তাই একটা অ্যালার্জি টেস্ট অবশ্যই করাবেন

কারোও অ্যালার্জি সর্ষেতে তো কারোর দুধে। আবার শিমুল তুলোর বালিশ থেকেও অনেকের হয় অ্যালার্জির সমস্যা। ছাতিমের গন্ধ যেমন কিছুজনকে নস্ট্যালজিক করে তোলে তেমনই কারোর এই তীব্র গন্ধ থেকে শুরি হয় শ্বাসকষ্ট। অ্যালার্জি এমনই জিনিস। প্রচুর মানুষ ভুগছেন এই সমস্যায়। কিন্তু কী কারণে অ্যালার্জি, কেন অ্যালার্জি হচ্ছে তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। বুঝতে পারলেও যে সচেতন হচ্ছেন এমনটাও কিন্তু নয়। এই অ্যালার্জি অতি ভয়ানক একটি সমস্যা। একমাত্র যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁরাই জানেন। অ্যালার্জি থেকে হতে পারে মৃত্যুও। কোনও খাবার খেলেই প্রাথমিক ভাবে সকলে ধরে নেন তাতে নিশ্চয় ডিম বা চিংড়ি ছিল যেখান থেকে এই সমস্যা হয়েছে। যে কোনও বয়সেই এই সমস্যা হতে পারে। কিন্তু ডিম, চিংড়ি আর বেগুন থেকেই বা কেন এত সমস্যা হয় জানেন কি?
এই বছর দীঘায় কাঁকড়া খেয়ে অসুস্থ পরে মৃত্যু এমন বেশ কিছু খবর সামনে এসেছে। সামুদ্রিক খাবার থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। ডিম, কাঁকড়া, দুধ, চিংড়ির মধ্যে থাকে এক ধরণের প্রোটিন যা শরীরে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে। প্রোটিন জাতীয় খাবারের মাধ্যমেই শরীরে অ্যান্টিজেন প্রবেশ করে। এই অ্যান্টিজেন অ্যান্টিবডিও তৈরি করে। কিছু জনের ক্ষেত্রে এই অ্য়ান্টিজেনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে কিঅ্যাকশন বেশি হয়। বিশেষত যাদের শরীরে ইমিউনিটি কম। এই অ্যান্টিজেন শরীরে প্রবেশ করার পর ইমিউনোলজিক্যাল ফাইট শুরু হয়। যেখান থেকে শ্বাসকষ্ট, চুলকানি, বমি, লাল চাকা চাকা দাগ, হাঁচি, কাশি, র্যাশ একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। বেগুন খেলেও অনেকের এই একই সমস্যা হয়। বেগুনের দানা রক্তে মিশে হিস্টামিন তৈরি করে। যে কারণে সমস্যা আরও বেশি হয়
খাবার থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে বুঝবেন যে ভাবে-
কোনও খাবার খাওয়ার পরেই মুখ, হাত, গলা যদি খুব চুলকোয়। অনেকের কুচো আর ওল খেলেও এই সমস্যা হয়।
হঠাৎ যদি গায়ে র্যাশ বেরোয়। মুখ ফুলে যায়
পেটে ব্যথা এবং বারবার যদি বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন পড়়ে তাহলে বুঝতে হবে সমস্যা রয়েছে।
তাহলে কী করবেন
প্রথমেই একটা তালিকা বানান। ঠিক কোন কোন খাবার খেলে আপনার এই সমস্যাটি হচ্ছে। কোন সময়ে খেলে হচ্ছে।
এরপর সেই খাবারটিকে তালিকা থেকে বাদ দিন। অন্তত ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত খাবেন না। অনেকের ক্ষেত্রে ১ বছর পর সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। অনেকের তা হয় না।
একটা অ্যালার্জি টেস্ট অবশ্যই করাবেন।
চিংড়ি বা ডিম বন্ধ রাখায় ৬ মাস পর একবার খেয়ে দেখুন। যদি সেই সমস্যার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে অবশ্যই বন্ধ রাখবেন।
অঅযালার্জির ভয়ে সব খাবার বাদ দিয়ে দেবেন না। আগে রক্ত পরীক্ষা করান। রিপোর্ট দেখুন। সেই সঙ্গে খাবার থেকে দেখুন সমস্যা হচ্ছে কিনা। তারপর তা বাদ দিন। তবে ব্যাগে সব সময় যে কোনও একটা অ্যান্টি অ্যালার্জি ট্যাবলেট অবশ্যই রাখবেন।





