AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Health Tips: পুষ্টি থাকা সত্ত্বেও অত্যধিক পরিমাণে আলু খেলে হতে পারে ক্যান্সার!

ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং ডায়টেরি ফাইবার থাকার কারণে অনেকেই এই খাদ্যকে পুষ্টিকর বলে মনে করেন। অতিরিক্ত আলু খেলে শরীরে দেখা দিতে পারে একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

Health Tips: পুষ্টি থাকা সত্ত্বেও অত্যধিক পরিমাণে আলু খেলে হতে পারে ক্যান্সার!
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2021 | 2:38 PM
Share

আলু হচ্ছে চতুর্থ বৃহত্তম খাদ্য যা বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়। ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং ডায়টেরি ফাইবার থাকার কারণে অনেকেই এই খাদ্যকে পুষ্টিকর বলে মনে করেন। খাদ্যতালিকায় কোনও সবজি থাকুক বা নাই থাকুক, আলু থাকেই। আবার অনেকে তো দুপুরের খাবারেও আলু থাকে আবার রাতের খাদ্য তালিকাতেও আলু থাকে।

বিশেষত, কম বয়সি ছেলে মেয়েদের মধ্যে সবজি খাওয়ার চল কম। তাঁরা বেশি ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড খেতে ভালবাসেন, আর বাড়ির খাবারের তালিকায় আলু তো থাকেই। কিন্তু জানেন কি এই অতিরিক্ত পরিমাণে আলু খাওয়া শরীরে পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত আলু খেলে শরীরে দেখা দিতে পারে একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

আলু ওবেসিটির জন্য মূল দায়ী। যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁরা খাদ্যতালিকায় আলুকে একদম রাখবেন না। ১০০ গ্রাম আলুতে ৭৭ ক্যালোরি রয়েছে। এছাড়াও আলুর মধ্যে রয়েছে ফ্যাট ও কোলেস্টেরল এবং ফাইবার ও প্রোটিন। ফাইবার এবং প্রোটিন পেটকে পরিপূর্ণ করে দেয়, যার ফলে আপনি সহজেই ওজন বৃদ্ধি করে ফেলেন। তবে আপনি যদি আলু সেদ্ধ বা বেক করে খান, তাহলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা তুলনামূলক কম।

আলু আমাদের পাচনতন্ত্রকে সাহায্য করে, যেহেতু এর মধ্যে ভিটামিন সি, ই এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা আমাদের পেটকে মুক্ত র‍্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে। এটা কোলন ক্যান্সার, অ্যাবডোমিনাল ক্যান্দার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার এবং ইনটেস্টিয়াল ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু যদি এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে প্যানক্রিয়াটিক ও কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তার সঙ্গে আলুর মধ্যে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই দেয় তার সঙ্গে গ্যাস অম্বলের সমস্যা থেকেও রেহাই দেয়। এই সব উপকারিতা গুলি ছাড়াও আলুর মধ্যে থাকা স্টার্চ‌ শরীরে অস্বস্তি, অস্বাভাবিক ব্যথা এবং ইনটেস্টিয়াল গ্যাসের মত সমস্যা তৈরি করে।

হাইপারটেশন বা উচ্চ রক্তচাপ এমন  একটি স্বাস্থ্য সমস্যা, যাতে সারা বিশ্বব্যাপী কম বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং এর ফলে কার্ডিওভ্যাসকুলার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আলুর মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে যা রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু যদি বেশি পরিমাণে আলু খাওয়া হয় তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। অত্যধিক পরিমাণে আলু খেলে রক্তচাপ অত্যধিক পরিমাণে নীচে নেমে যেতে পারে এবং তার সঙ্গে মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, ডিহাইড্রেশন, দুর্বল একাগ্রতা, ঝাপসা দৃষ্টি এবং ফ্যাকাশে ত্বক ইত্যাদির মত সমস্যা দেখা যায়।

আরও পড়ুন: ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সময় ওজন কমানোর জন্য কোন কোন খাবারগুলি খাবেন, জেনে নিন…

আরও পড়ুন: ১ মিনিটে ৬টি সিঁড়ি ওঠানামা করতে পারলেই বুঝবেন আপনার হার্ট সুস্থ! বলছে গবেষণা

আরও পড়ুন: রসুন খাওয়ার স্বাস্থ্যকর উপকারিতা অনেক, ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ কার্যকর এই রসুন…