দিবানিদ্রার মত সুখ আর কিছুতে নেই। কিন্তু সেই সুখের সঙ্গে সহাবস্থান কিন্তু বড়ই কঠিন ব্যাপার। এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা দুপুরের পর অন্তত ১৫ মিনিটের জন্যে হলেও একটু ঘুমিয়ে নেন। আর এই কোভিড আবহে অনেকের মধ্যেই ফিরে এসেছে সেই পুরনো অভ্যাস। বাড়িতে থেকে কাজ করতে করতে অনেকেই ভাতঘুমে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বাঙালির এই ভাত ঘুম নিয়ে যতই মশকরা করা হোক না কেন, শরীরের জন্য কিন্তু দারুণ উপকারী দুপুরের এই ঘুম। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দুপুরের খাওয়া সেরে যদি ১৫ মিনিটের মতো ঘুমিয়ে নেওয়া যায় তাহলে পরবর্তী ২ ঘন্টা দারুণ ফ্রেশনেস বজায় থাকে শরীরে। সেই সঙ্গে নতুন উদ্যোমেও কাজ করা যায়।
তবে সেই ঘুমের সময় যদি দুপুর ১-৩টের মধ্যে হয় তাহলে কিন্তু সবচেয়ে ভাল। এতে খাবার যেমন ঠিকমতো হজম হয়, তেমনই শরীরের অনেক সমস্যাও কিন্তু দূরে থাকে। সেই সঙ্গে দেখা গিয়েছে, এই সংক্ষিপ্ত ঘুম শরীর আর মনের জন্যেও খুব ভাল। রাগ, বিরক্তি, হতাশা এঅসব থেকে যেমন মুক্তি পাওয়া যায় তেমনই কিন্তু মন দিয়ে কাজ করা যায়। কাজের ক্ষেত্রে বাড়ে মনঃসংযোগও। ঘুম পেলে অনেকেই ঘুম কাটানোর জন্য বার বার কফি খান। যা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। পরিবর্তে ঘুম পেলে সেই সময়টা ঘুমিয়ে নেওয়া ভাল। এতে শরীর, মন ভাল থাকে। কাজও ভাল হয়। দুপুরে খাবার পরে যদি ২০-৩০ মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পান তাহলে বাকি -৫ ঘন্টায় অনেক বেশি কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও আরও কিছু সুবিধেও পাবেন। যেমন-
স্মৃতিশক্তি ভাল হয়- যাঁরা নিয়মিত ভাবে দুপুরে এই ২০-৩০ মিনিট ঘুমনোর সুযোগ পান তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু স্মৃতিশক্তিও ভাল থাকে। বেশ কিছু সমীক্ষাতেই তা প্রমাণিত। কিন্তু ঘুমের সময়সীমা ৩০ মিনিটের মধ্যেই রাখতে হবে। এর চেয়ে বেশি হলেই কিন্তু বিপদ। তাতে কাজের কাজ কোনও কিছুই হয় না।
সৃজনশীলতা বাড়ায়- চাপের মুখে কোনও কাজই ভাল হয় না। জোর করে কোনও কিছু করতে গেলে সেখানে ভুল হবার সম্ভাবনা কিন্তু থাকে অনেক বেশি। কাজে মনও বসে না। কিন্তু দরকারে এইটুকু সময় ঘুমিয়ে নিয়ে কাজে বসলে কাজও যেমন ভাল হয় তেমনই কিন্তু কাজের মানও বাড়ে। সেই সঙ্গে নতুন কিছু ভাবনার অবকাশও থাকে।
ইচ্ছেশক্তি বাড়ায়- মস্তিষ্ক যখন ক্লান্ত থাকে তখন কোনও কিছুই করার ইচ্ছে থাকে না। কোনও কাজে ঠিক করে মনোনিবেশ করা যায় না। সেক্ষেত্রে এই ২০-৩০ মিনিট ঘুমিয়ে নিলে কিন্তু অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। এতে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে এবং কাজও ভাল হয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Weight Loss: সারাদিনে কতটা পরিমাণ জল খেলেন? মাপবেন যেভাবে…