Sleeping With Wet Hair: স্নান করার পরই ঘুমে চোখ বুজে যায়? পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি জানলে আর কখনও করবেন না
Side Effects of Wet Hair: অনেকেরই যেমন খাওয়ার পরই ঘুম চোখে লেগে থাকে, অনেকের আবার স্নান করার পরই ঘুমে চোখ বুজে আসে। তাই ভিজে চুলেই বালিশ মাথায় গভীর নিদ্রায় মগ্ন হোন অনেকে।
ঘুমাতে কে না ভালবাসে? অফিসে ঢোকার পর থেকেই ক্রমাগত হাই তুলে ক্লান্তিবোধ যেন আরও চেপে বসে। যাঁরা একটুখানি জায়গায়, যে কোনও পরিস্থিতিতেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন, তাদের জন্য সুখবর। কারণ ঘুমের জন্যও রয়েছে একটি বিশেষ দিন। ২০০৮ সাল থেকে পথ চলা শুরু। প্রতি বছরের মতো ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ পালিত হচ্ছে বিশ্ব ঘুম দিবস। এবারের থিমই হল স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অপরিহার্য। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলেই শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা তৈরি হয়। তেমনি সামাজিক, শিক্ষা ও চিকিত্সাতেও সমস্যা তৈরি করে। অনেকেরই যেমন খাওয়ার পরই ঘুম চোখে লেগে থাকে, অনেকের আবার স্নান করার পরই ঘুমে চোখ বুজে আসে। তাই ভিজে চুলেই বালিশ মাথায় গভীর নিদ্রায় মগ্ন হোন অনেকে। বিশেষ করে মহিলারা ভিজে চুলে ও মাথায় যদি ঘুমে পড়েন, তাতে ভাল কিছু হয় না, উল্টে নানারকম সমস্যা তৈরি হয়।
ভেজা চুল নিয়ে ঘুমালে স্বাস্থ্যের কতটা ক্ষতি হতে পারে? স্ট্রেস কমাতে দিনের শেষে আরাম পেতে রাতে শোওয়ার আগে গরম জলে স্নান করেন অনেকেই। গ্রীষ্মকালে এর মাত্রা হয়তো বেড়ে যায়। শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তনের ফলে ঘুম আরও জোরালো হয়। বিছানায় পড়লেই এক নিমেষে ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে। তবে বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানানো হয়েছে, ঘুমানোর আগে গরম জলে স্নান করলে বা শাওয়ার নিলে ঘুমের মান উন্নত হয়। অনেকক্ষেত্রে দিনের শেষে স্নান করলে বা শাওয়ার নিলে চুল থাকে ভিজে। সেই ভেজা চুল নিয়েই বিছানায় শুতে যাওয়া হয়। ভেজা চুলে ঘুমালে পরের দিন সকালে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, ভেজা চুলে ঘুমানোর ফলে মাথার ত্বকে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে, চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই যতটা সম্ভব চুল সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে নিয়ে তবেই ঘুমাতে যাওয়া উচিত। চুল ভিজে রাখার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি কী কী, তা জেনে নিন এখানে…
১. ঠান্ডা লাগার প্রবণতা যাদের রয়েছে, তারা কোনওভাবেই ভিজে চুল নিয়ে শুতে যাবেন না। ভিজে চুলে শুতে গেলে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা তৈরি হয়। এমনকি ফল্ুয়ের ভাইরাসের মতো তা ছড়িয়ে পড়ে। নাক, মুখ ও চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে সংক্রমণের জেরে হাঁচি, কাশি হতে পারে। সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে আরও বেশ কয়েকজনের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. ভিজে চুলে শুলে চুল ভেঙে যায়। স্যাঁতস্যাতে ও ভিজে থাকলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়, ঘুমের সময় বেশিমাত্রায় ঝরে পড়ে, চুল পড়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব ভেজা চুলে শোওয়া থেকে বিরত থাকুন। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও গুরুতর। চুল যদি বিনুনি করা থাকে বা টাইট করে বাধা থাকে, তাহলে চুলের সমস্যা দ্বিগুণ বেড়ে যেতে পারে।
৩. মাথার ত্বকে সংক্রমণ ভেজা থাকলে বেশি ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দুর্গন্ধ ও খুশকির সমস্যাও বেড়ে যায়। এছাড়া মাথার ত্বকে থাকা ব্য়াকটেরিয়া বালিশের মধ্যেও বংশবিস্তার করে। উষ্ণজায়গায় ব্যকটেরিয়া বৃদ্ধি পেলেও ভেজা চুল প্রজনন স্থল হিসেবে উপযুক্ত হয়ে ওঠে।
৪. ঘুমাতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত যদি বারবার চুল সম্পূর্ণ ভিজে থাকে, তাহলে স্নান করার আগে নারকেল তেল মাখুন। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যেই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সিল্কে বালিশে মাথা রাখুন।