শুধু খাবারই নয়, আমরা যা পান করি তা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে – বিশেষ করে হার্ট এবং বিপাক। এবং বিশ্বে প্রতিনিয়ত এই হৃদজনিত রোগের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর পিছনে যদিও অনেকগুলি কারণই দায়ী। তবুও জেনে রাখা ভাল যে, আমাদের জীবনযাত্রা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস কীভাবে শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে।
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কম-বেশি সবার জীবনযাত্রার ওপরই প্রভাব ফেলেছে। তবে যে কথাটা বলা বাহুল্য তা হল সচেতনতা। মানুষ এখন আগের থেকে বেশি সচেতন হয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে ফিটনেস এবং সুরক্ষার জন্য সামগ্রিক উপায়কেই বেছে নিচ্ছে। তবে দীর্ঘদিনের গবেষণা ও মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনগুলিতে বার বার এটাই দেখা যাচ্ছে যে খাবার চয়ন কীভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে- এমনকি হার্টের ওপর। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সায়েন্টিফিক সেশনস ২০২১-এ উপস্থাপিত সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে কীভাবে একটি নির্দিষ্ট পানীয় হৃদস্পন্দনকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং এটি অ্যালকোহল ছিল না।
স্বাস্থ্যকর পানীয় যা হৃদস্পন্দনকে প্রভাবিত করতে পারে
কফি, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। এটি দিয়ে বিশ্বের অগণিত মানুষ তাদের দিন শুরু করে। অনেকে কফি থেকে একাধিক উপকারিতা লাভ করে, যেমন জ্ঞানীয় উপকারিতা, ওজন হ্রাস, রক্তে শর্করা, এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি। যদিও, গবেষণা দেখা গেছে, অত্যধিক পরিমাণে কফি পান করলে হৃদরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
এই গবেষণা ১০০ জনের ওপর করা হয়েছিল। এবং তাঁদের প্রত্যেকেরই গোড় বয়স ছিল ৩৮ বছর। এই গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী দেখা গেছে যে। এক কাপ অতিরিক্ত কফি পান করার ফলে হৃদযন্ত্রের নীচের চেম্বারগুলি থেকে অকাল ভেন্ট্রিকুলার সংকোচন ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, হৃদযন্ত্রের উপর এই প্রভাব তাৎক্ষণিক কিন্তু অস্থায়ী। ক্যাফিন হৃদস্পন্দন থেকে শুরু করে রক্তচাপের মাত্রা বৃদ্ধি পর্যন্ত হৃদযন্ত্রে স্বল্পমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, সীমিত পরিমাণে কফি খাওয়া হলে সে ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর ক্যাফেইনের কোনও উল্লেখযোগ্য দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নেই।
আরও পড়ুন: Child Care: আপনার শিশুকে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করতে মেনে চলুন শুধু একটি প্রতিকার
আরও পড়ুন: Milind Soman: ডায়েটিং না করেই সুস্থ থাকা যায়! সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিলেন ফিটনেস ফ্রিক মিলিন্দ