Summer Cold Vs COVID: সর্দি-গর্মির সমস্যা নাকি কোভিড! বুঝবেন যে ভাবে…
Coronavirus: গরমে ঘাম বসে সর্দি-গর্মির সমস্যা অনেকেরই হয়। সেই সঙ্গে ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব তো আছেই। তবে এই হাঁচি-কাশির সমস্যায় নিজেকে বাকিদের থেকে দূরে রাখুন...
মৃদুমন্দ বাতাসই জানান দিচ্ছে বসন্ত এসে গেছে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে ভাবে উত্তাপ বাড়ছে তাতে বোঝা দায় গ্রীষ্ম নাকি বসন্ত। হঠাৎ করেই শীত উধাও হয়ে যেতেই চড়চড়িয়ে বেড়েছে পারদ। ফ্যান ছাড়া যেমন এক মুহূর্তও থাকা যাচ্ছে না তেমনই অনেক সময় ফ্যান চললেও যেন ঠান্ডা লাগছে। এছাড়াও বাইরে বেরলেও রোদ-ঘাম এসব তো আছেই। বসন্তে এমনিই ঠান্ডা লাগার সমস্যা বেশি থাকে। বাড়ে অ্যালার্জির প্রবণতাও। আর তাই এই সময়টা সকলেই একটি সামলে থাকতে হয়। অল্পেই সর্দি-কাশির ( Summer Allergies) সমস্যা হয়ে যায়। নাক দিয়ে জল পড়া লেগেই থাকে। এদিকে কোভিডের সংক্রমণ পুরোপুরি কাটেনি (COVID)। ক্লান্তি, মাথাব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, জ্বর, কাশি এসব যেমন কোভিডের উপসর্গ তেমনই কিন্তু ফ্লুএরও লক্ষণ। কাজেই কোভিড নাকি সর্দি-গর্মি তা কিন্তু মোটেই বোঝা যায় না।
সর্দি-গর্মির সমস্যার উল্লেখ বহু বাংল গল্প উপন্যাসে। আর এই গ্রীষ্মকালীন ঠান্ডা লাগার মুখ্য উপসর্গ হল হাঁচি, কাশি, গলা চুলকোনো, নাক দিয়ে জল পড়া, অতিরিক্ত ঘাম এবং জ্বর। অনেকের ক্ষেত্রে নানা রকম অ্যালার্জি জনিত সমস্যাও কিন্তু থাকে। আবার যাদের ঠান্ডা, সর্দির ধাত থাকে তাঁদেরও এই ঋতু পরিবর্তনের সময় মরশুমি সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগতে হয়। সাধারণত এই সব সমস্যা ৫-৭ দিন পর ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে এমন গরমের দিনেও কিন্তু বাতাসে ভাইরাস থাকে সক্রিয়। যে কারণে এই ভাইরাসজনিত সংক্রমণের সম্ভাবনা কিন্তু থেকেই যায়।
আর তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সারা বছরই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। করোনা থাক বা না থাক। সেই সঙ্গে হাত ধুতে হবে বার বার। সঙ্গে রাখুন স্যানিটাইজার। যে কোনও ভিড় এড়িয়ে চলাই ভাল। যদি বেশি হাঁচি-সর্দির সমস্যা হয় তাহলে ওই কয়েকদিন বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। কারণ বাড়ির বাইরে নিয়মিত ভাবে বেরোলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। যদি এই সব লক্ষণ ১ সপ্তাহের মধ্যে না কমে, নাক দিয়ে জল পড়া, নাক বন্ধ থাকার মত সমস্যা বাড়ে তাহলে কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে কোভিডের পরীক্ষা করান। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে কোভিডের গ্রাফ। ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট BA.2 এখন সবচাইতে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। বর্চততমানে কোভিড সংক্রমণের জন্য কিন্তু এই স্ট্রেনই দায়ী।
ওমিক্রনের উপসর্গ এবারও মৃদু। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা ছাড়া বিশেষ কোনও সমস্যা নেই। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা, শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়া এসব সমস্যাও খুব একটা হয়নি। তবে এবার অনেকেরই পেটের সমস্যা, পেটে ব্যথা হচ্ছে। তাই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যদি পেটে ব্যথার মত সমস্যা থাকে গলা ব্যথা, জ্বর এসব থাকে তবে কিন্তু একদিনও ফেলে না রেখে আগে কোভিডের পরীক্ষা করান। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরমর্শ নিন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Coronavirus Symptom: প্রায়শই পেটের গন্ডগোল ? কোভিডের কারণে নয় তো…