Heart Attack: তপ্ত দুপুরে রাস্তায় বেরোলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক, অত্যধিক গরমে কীভাবে এড়াবেন হৃদরোগের ঝুঁকি?

Summer Heart Health: প্রচণ্ড গরমে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এখান থেকে হিট স্ট্রোক, লো প্রেশার বা হাই প্রেশারের মতো সমস্যা বাড়ে। এখান থেকেই তৈরি হয় হৃদরোগের ঝুঁকি। তাছাড়া উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক চাপ, শরীরচর্চার অনীহা সবই দায়ী হৃদরোগের পিছনে। আর এখন কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ।

Heart Attack: তপ্ত দুপুরে রাস্তায় বেরোলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক, অত্যধিক গরমে কীভাবে এড়াবেন হৃদরোগের ঝুঁকি?
Follow Us:
| Updated on: Apr 25, 2024 | 1:55 PM

প্যাচপ্যাচে গরমে বাঙালির নাজেহাল অবস্থা। চড়া রোদে নাকানি-চোবানি খেতে হচ্ছে। রয়েছে যখন-তখন হিট স্ট্রোক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। এছাড়া গরমে ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা লেগেই রয়েছে। এসবের মাঝে নিশ্চুপে বাড়তে পারে হৃদরোগ, জানেন কি? কোনও আগাম সংকেত ছাড়াই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট আসে। যার পরিণাম হতে পারে মৃত্যু। সাধারণ শীতেই হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি। কিন্তু এই অত্যধিক গরমে হার্টের সমস্যাকে একদম হাওয়াই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

মূলত প্রচণ্ড গরমে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এখান থেকে হিট স্ট্রোক, লো প্রেশার বা হাই প্রেশারের মতো সমস্যা বাড়ে। এখান থেকেই তৈরি হয় হৃদরোগের ঝুঁকি। তাছাড়া উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক চাপ, শরীরচর্চার অনীহা সবই দায়ী হৃদরোগের পিছনে। আর এখন কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। এই মারাত্মক গরমে কীভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াবেন, রইল টিপস।

খাদ্যাভাসে বদল আনুন: গরমে যত হালকা খাবার খাবেন, হার্টের জন্য ভালই। শাকসবজি, দানাশস্য, বাদাম, ফল বেশি করে খান। এতে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারবেন। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল খান। শরীরের তাপমাত্রা যত স্বাভাবিক থাকবে, হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমবে।

এই খবরটিও পড়ুন

নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন: গরমে শরীরচর্চা করা ইচ্ছে যাচ্ছে না? এই ভুল করবেন না। ভারী শরীরচর্চা না করলেও সন্ধের পর হাঁটাহাঁটি করুন। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, দিনে ৩০ মিনিট হাঁটলেও কমানো যায় হৃদরোগের ঝুঁকি।

মানসিক চাপ কমান: কম বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর পিছনে একাংশে দায়ী মানসিক চাপ। অত্যধিক মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। বেশিরভাগ মানুষই এই বিষয়টি এড়িয়ে চলেন, কিন্তু চাপমুক্ত জীবন না কাটলে আয়ু কমতে পারে। মানসিক চাপ কমাতে হালকা শরীরচর্চা করুন, গান শুনুন, বই পড়ুন।

ঘুম জরুরি: ব্যস্ত জীবনযাত্রার মধ্যে ঘুমের সময়টাই কমছে বেশিরভাগ মানুষের। ৭-৮ ঘণ্টার কম ঘুম উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ডিপ্রেশনের মতো ক্রনিক অসুখ ডেকে আনে। আর এসব শারীরিক অবস্থা হার্টের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এছাড়া শরীর যদি ঠিকমতো বিশ্রাম না পায়, রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভাল মতো হয় না। এতে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়ে, যা হৃদরোগের জন্য দায়ী। তাই ৮ ঘণ্টার ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।