Type 1 Diabetes: টাইপ ১ ডায়াবেটিসের প্রধান শিকার যুবসমাজ! চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা

Diabetes: ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন অনুসারে ২০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যেও থাবা বসাচ্ছে টাইপ ১ ডায়াবেটিস। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১১ লক্ষেরও বেশি শিশু-কিশোর আক্রান্ত এই ডায়াবেটিসে

Type 1 Diabetes: টাইপ ১ ডায়াবেটিসের প্রধান শিকার যুবসমাজ! চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা
শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে ডায়াবেটিস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2022 | 6:41 AM

কোভিডের প্রকোপ এখনও শেষ হয়নি, ফের দেশজুড়েই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কোভিড। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) তরফে টাইপ ১ ডায়াবেটিস নিয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে। আর সেখানেই বলা হয়েছে, যাঁরা ডায়াবেটিসের শিকার কোভিডকালে তাঁদের উপরই প্রভাব পড়েছে সবচাইতে বেশি। জটিলতা যেমন ছিল তেমনই অনেকক্ষেত্রে মৃত্যুও হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই ডায়াবেটিসে। অজান্তেই ক্ষতি হয়েছে কিডনি এবং চোখের। শরীরে চুপিসাড়ে বাসা বেঁধেছে হৃদরোগও। যা টেনে নিয়ে গিয়েছে মৃত্যুর দিকে। বর্তমানে যুবদের মধ্যে বাড়ছে টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন অনুসারে ২০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যেও থাবা বসাচ্ছে টাইপ ১ ডায়াবেটিস। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১১ লক্ষেরও বেশি শিশু-কিশোর আক্রান্ত এই ডায়াবেটিসে। যদিও এখন টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যাই সবচাইতে বেশি। ৯৫ শতাংশ মানুষের মধ্যেই রয়েছে এই ডায়াবেটিস। যার কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং ওবেসিটি।

টাইপ ১ ডায়াবেটিসে শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না। ইনসুলিনের কাজ কোষে কোষে গ্লুকোজ সরবরাহ করা। সেখান থেকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন হয়। যা আমাদের শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন ক্রিয়া পরিচালনা করে। টাইপ ১ ডায়াবেটিসের কারণ হিসেবে একাধিক তথ্য তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে যেমন জানানো হয়েছে, ২০১৭ সালে ৯০ লক্ষেরও বেশি মানুষের মধ্যে ছিল টাইপ ১ ডায়াবেটিস। যার সঠিক কারণ বা প্রতিরোধের উপায় জানা নেই। তবে আক্রান্তদের সকলেরই আর্থিক অবস্থা খুব ভাল।

টাইপ ১ ডায়াবেটিসের প্রধান লক্ষণগুলি হল

বার বার বাথরুমে যাওয়া সব সময় জল তেষ্টা পাওয়া, গলা শুকিয়ে যাওয়া অতিরিক্ত খিদে ওজন কমে যাওয়া ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি শরীর প্রচণ্ড ভাবে ক্লান্ত

যাঁদের টাইপ ১ ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি। রাইনো-অরবিটাল-সেরিব্রাল মিউকর্মাইকোসিস-এর মত ছত্রাকের আক্রমণে মাথা আর ঘাড়ে সংক্রমণ হয়। পরে তা কানের মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরীণ কোষগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও নেক্রোটাইজিং ফ্যাসাইটিস, ফোরনিয়ার গ্যাংগ্রিন, এমফিসেমেটাস কোলেসিস্টাইটিস, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টানাল ইনফেকশন, এমফিসেমেটাস ইনফেকশনের সম্ভাবনা থেকে যায়। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় পা নিয়ে। পায়ে কোনও ক্ষত বা সংক্রমণ হলে তা সারতেই চায় না। সেই সঙ্গে নিউমোেনিয়া, মূত্রনালীর সংক্রমণ এই সমস্যাও বার বার ফিরে আসে।

যা বলছে ICMR

বর্তমান বিশ্বে শিশু-কিশোরদের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। আর্ন্তজাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে এর মধ্যে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যাই সবচাইতে বেশি। প্রতি বছর ভারতে বাড়ছে এই আক্রান্তের গ্রাফ। ১০-১৪ বছর বয়সের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সবচাইতে বেশি। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে জিনেরল ভূমিকাই সবচাইতে বেশি। মা-বাবা কিংবা ভাই-বোন যদি টাইপ ১ ডায়াবেটিসের শিকার হয় সেখান থেকে অন্যজন সহজেই আক্রান্ত হতে পারে।

এই ডায়াবেটিস রুখতে বিশেষজ্ঞরা জোর দিতে বলছেন ডায়েটে। সারাদিনের মোট ক্যালোরিকে তিনটি ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। লাঞ্চের পর ক্যালোরি একেবারেই কমিয়ে ফেলতে হবে।  গোটাশস্য, ফল বিভিন্ন ডাল এসবের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ফাইবার বেশি খেতে হবে। একেবারে লো-ডেয়ারি প্রোডাক্ট রাখতে হবে তালিকায়। সঙ্গে নিয়মিত ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন। নইলে অজান্তেই আসতে পারে হৃদরোগ।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।