Ayurveda: এই ভেষজ তেলের এক ফোঁটা শক্তিই ‘সঞ্জীবনী সুধা’! সব রোগ সারাতে এখন এটাই ভরসা

Benefits of Tamarind: তেঁতুলের বীজ থেকে তেল পাওয়া যদি বাজারে পাওয়া না যায়, তাহলে তেঁতুল ব্যবহার করা যেতে পারে।

Ayurveda: এই ভেষজ তেলের এক ফোঁটা শক্তিই 'সঞ্জীবনী সুধা'! সব রোগ সারাতে এখন এটাই ভরসা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2022 | 7:00 AM

আয়ুর্বেদের (Ayurveda) কথা উঠলেই মনে হতে পারে কোনও ঘাস-পাতার সম্পর্কে কথা বলা হবে। তাকমারিয়া (Takmaria ) সম্পর্কে অনেকের কাছে তেমন তথ্য নেই। এটি এক ধরনের বীজ। আমাদের বাড়িতেই বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, কলিযুগে তাকমারিয়া পৃথিবীতেই উত্‍পাদন হত। এক চিমটে শক্তিতেই রোগ নিরাময় করা যায় এই বীজ দিয়ে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, মৃত্যু ছাড়া সব কিছুরই ওষুধ আছে। তাই তেঁতুল বীজ (Tamarind Seeds) মধু বা জলের সঙ্গে খুব ভাল করে মিশিয়ে তেঁতুলের বীজের তেল তৈরি করা হয়। যা রোগ নিরাময়ের জন্য খুবই কার্যকর। তেঁতুলের বীজ থেকে তেল পাওয়া যদি বাজারে পাওয়া না যায়, তাহলে তেঁতুল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এখানে তেঁতুলের বীজের তেলে রয়েছে অনেক ধরনের ফ্যাট। এই বীজের তেল অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এতে রয়েছে স্যাপোনিন নামক একটি উপাদান।

এছাড়া এই বীজে রয়েছে নাইজোলিন নামক তেঁতো স্বাদের পদার্থের আকারে ব্যবহার করা হয়। প্রস্রাব, বীর্যপাত ও মাসিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। কালঞ্জি তেল বুকের মধ্যে জমে থাকা কফ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া এই ভেষজ তেলের কারণে দূষিত রক্ত বিশুদ্ধ হয়। সকালে ও রাতে শোওয়ার সময় খালি পেটে ক্লোনজির তেল খেলে অনেক রোগের উপশম হয়। তবে গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন কোনও মহিলার জন্য ক্লোনজির তেল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। তাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কোন রোগে কীভাবে ব্যবহার করবেন, জানুন

প্রথমে এক চামচ মধুর সঙ্গে তেঁতুলের বীজ মিশিয়ে নিন। এরপর সেই মিশ্রণটি গরম জলের মধ্যে সেদ্ধ করে পরে তা ছেঁকে নিন। তেঁতুলের বীজ দুধে সেদ্ধ করেও ঠান্ডা করে খেতে পারেন।

তেঁতুলের বীজের উপকারিতা

– মৃগী রোগে আক্রান্ত শিশুদের তেঁতুলের নির্যাস সেবন করালে তাদের খিঁচুনি দূর হয়ে যায়।

– উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে ১০০ বা ২০০ মিলিগ্রাম তেঁতুলের বীজের তেল বা গুঁড়ো দিনে দুবার খেলে রক্তচাপ কমে যায়।

– এক কাপ গরম দলে আধ চা চামচ তেঁতুলের বীজের তেল মিশিয়ে দিমে দুবার খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়।

– চুলের তেলে তেঁতুল মিশিয়ে নিয়মিত মাথার ত্বকে লাগালে টাক পড়ার সমস্যা দূর হয় ও চুলের বৃদ্ধি হয়।

– কানে তেঁতুলের বীজের তেল লাগালে কানে ফোলাভাল দূর হয়। বধির যারা,তাদের জন্যও বেশ উপকারী।

– সর্দি-কাশিতে ভুলগলে তেঁতুলের বীজ কাপড়ে মুড়ে, গরম আগুনে সেঁকে বুকে বা পিঠে প্রয়োগ করতে পারেন। আরাম পাবেন। এছাড়া তেঁতুলের বীজের তেলের সঙ্গে অলিভ অয়েল নাকে দিলে দ্রুত সর্দি সারাতে সাহায্য করে।

– জলের মধ্যে তেঁতুলের বীজ সেদ্ধ করে এর রস পান করলে হাঁপানির খুব ভাল প্রভাব পড়ে।

– তেঁতুলে বীজ পিষে নিয়ে শোওয়ার সময় গোটা মুখে লাগিয়ে নিন। পরদিন সকালে তা ধুয়ে ফেলুন। কয়েক দিনের জন্য ত্বক থেকে ব্রণ হবে উধাও।