Home Remedies: সর্দি-কাশিতে শিশুকে আর কাফ সিরাপ নয়, ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপাদানে
প্রাচীনকাল থেকেই সর্দি-কাশির ঘরোয়া প্রতিকারই শিশুদের আরামে সাহায্য করে এসেছে। ঘরেই থাকা কয়েকটি উপাদানই হয়ে উঠতে পারে শিশুর ছোটখাটো অসুখের ভরসা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটদের সর্দি-কাশি হলে সঙ্গে সঙ্গে যে কোনও কাফ সিরাপ খাওয়ানো ভাল নয়।

বর্ষাকাল বা শীতকাল এলেই বাড়ির শিশুরা সর্দি-কাশিতে ভোগে। রাতভর কাশি থামছেই না, খাওয়ার সময় গলা ব্যথা করছে—এমন পরিস্থিতিতে বাবা-মায়ের চিন্তার শেষ নেই। সাধারণত অনেকেই তাড়াহুড়ো করে বাজারচলতি কাফ সিরাপ খাওয়ান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটদের জন্য এই অভ্যাস সবসময় নিরাপদ নয়। বরং প্রাচীনকাল থেকেই সর্দি-কাশির ঘরোয়া প্রতিকারই শিশুদের আরামে সাহায্য করে এসেছে। ঘরেই থাকা কয়েকটি উপাদানই হয়ে উঠতে পারে শিশুর ছোটখাটো অসুখের ভরসা। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থানে ১২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে কাফ সিরাপ খেয়ে। তারপর কাঠগড়ায় কাফ সিরাপ, জারি হয়েছে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা। ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের কাফ সিরাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।
ঘরোয়া কোন উপাদানে ভরসা রাখতে পারেন —
মধুর ব্যবহার (১ বছরের পর থেকে)
প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান মধু গলা নরম করে কাশি প্রশমিত করে।
আদা ও তুলসীর যুগলবন্দি
আদার রসের সঙ্গে তুলসী পাতার রস মিশিয়ে সামান্য মধু দিলে শিশুর গলার জ্বালা কমে যায়।
ভাপের আরাম
গরম জলে ভাপ নিলে শ্বাসনালী পরিষ্কার হবে, নাকের বন্ধভাব দূর করবে।
হলুদ দুধের টনিক
শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রাতে গরম দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে দেওয়া যায়।
স্যালাইন ড্রপ
নাক বন্ধ থাকলে স্যালাইন ড্রপ শিশুদের সহজে শ্বাস নিতে সাহায্য করে।
হালকা গরম পানীয়
গরম জল বা স্যুপ কাশি কমানোর পাশাপাশি শিশুকে আরাম দেয়।
সাবধানতা
- ১ বছরের কম বয়সী শিশুকে মধু খাওয়ানো উচিত নয়। ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বা হার্বাল সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করবেন না। কাশি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
- কাশি-সর্দি হওয়া শিশুকে আরাম দেওয়ার জন্য বাজারচলতি সিরাপ নয়, বরং ঘরোয়া উপাদানই হতে পারে প্রথম ভরসা। তবে অসুবিধা যদি বাড়তে থাকে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।
