Bilkis Bano Case: গুজরাটে বিলকিস বানোর ১১ ধর্ষকের কারামুক্তি
গোধরাকাণ্ডের সময় ঘটে যাওয়া এই অপরাধের দোষীদের মুক্তিতে স্বভাবতই জন্ম হয়েছে নতুন বিতর্কের। গুজরাট সরকারের গঠিত কমিটির সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়
গুজরাট: বিলকিস বানোর গণধর্ষণকারীদের মুক্তি। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের উৎসবের দিনই গুজরাটের গোধরা সংশোধনাগার থেকে ‘আজাদ’ করে দেওয়া হল ১১ জন দোষীকেই। এরা প্রত্যেকেই বিলকিস বানো গণধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত দোষী।
২০০২ সালে বিলকিস বানো গণধর্ষণ ও নাবালিকা (বিলকিস বানোর মেয়ে) খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয় এই ১১ জন। দোষ প্রমাণের পর দোষীদের দোষী সাব্যস্ত করে কারাবাসের রায় দেয় আদালত। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় কারাবাসে থাকার পর এক দোষী শীর্ষ ন্যায়ালয়ের কাছে মুক্তির আবেদন করে। যার পর্যবেক্ষণে আদালত গুজরাট সরকারকে বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখার কথা বলে। ‘পুনর্বিবেচনার’ সুপ্রিম নির্দেশেই একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে সরকার। সেই কমিটির সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমেই মুক্তি পেল ১১ দোষী।
গোধরাকাণ্ডের সময় ঘটে যাওয়া এই অপরাধের দোষীদের মুক্তিতে স্বভাবতই জন্ম হয়েছে নতুন বিতর্কের। গুজরাট সরকারের গঠিত কমিটির সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। প্রতিক্রিয়া এসেছে সিপিআইএমের তরফেও। মুখ খুলেছেন বিলকিস বানো নিজেও। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ‘পুনর্বিবেচিত করার সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার দাবি’ জানাতে পারেন বিলকিস। অথবা কেন্দ্রীয় গাইডলাইনের কথা মাথায়া রেখে (গণধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীকে মুক্তি না দেওয়া) মোদী সরকারের কাছেও আবেদন করতে পারেন তিনি।