Dead body Recovered: গায়ে শুধু অন্তর্বাস, নেই আঙুল, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুখটাও… পুরীর সৈকতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখলেন পর্যটকরা

Odisha Crime: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যখন ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়, তখন তাঁর মুখ সম্পূর্ণ কালো ছিল। মনে করা হচ্ছে, অ্যাসিড জাতীয় কোনও কেমিক্যাল দিয়েই যুবতীর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে দেহ শনাক্ত না করা যায়। ওই যুবতীর হাতের কয়েকটি আঙুলও নেই।

Dead body Recovered: গায়ে শুধু অন্তর্বাস, নেই আঙুল, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুখটাও... পুরীর সৈকতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখলেন পর্যটকরা
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2022 | 10:47 AM

ভুবনেশ্বর: পরিবারের সঙ্গেই পুরীর সমুদ্র দেখতে এসেছিলেন বছর ১৮-র যুবতী। ছয়দিন বাদে সমুদ্র সৈকত থেকেই মিলল তার দেহ। তবে সেই দেহ চেনার উপায় নেই। লবনাক্ত জলে থেকে ফুলে ঢোল হয়ে গিয়েছে দেহ, গোটা শরীরে একাধিক কাটা দাগ। মুখ ও পিঠ পুরো কালো, যেন কিছু দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরীর সমুদ্র সৈকতে এমনই ভয়ানক দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন পর্যটকরা। গত ২৬ নভেম্বর পুরীর সমুদ্র সৈকত থেকে এক যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবতী। হোটেল থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ওই যুবতী। সেদিন বিকেলেই পরিবারের তরফে পুরী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। অভিযোগ দায়েরের তিন দিন পরে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৬ নভেম্বর ওড়িশার পুরীর পেন্থাকাটা এলাকার সমুদ্র সৈকত থেকে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর পরনে শুধু অন্তর্বাস ছিল। পুলিশের প্রাথমিকভাবে সন্দেহ ছিল, সমুদ্রে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবতীর। তবে তার পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে যুবতীকে।

জানা গিয়েছে, ওই যুবতী মধ্য প্রদেশের সাগর জেলার বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গে ওড়িশা ঘুরতে এসেছিলেন। কিন্তু পুরীতে পৌঁছনোর দিন দুয়েক পরই হোটেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান।পরিবারের দাবি, হোটেলের লবিতে জামাকাপড় মেলা ছিল তাদের। সেই জামা তুলতে বেরিয়েই আর রুমে ফেরেনি যুবতী। আশেপাশের সমস্ত এলাকায় খোঁজ-খবর করেও যুবতীর কোনও খবর না পাওয়ায়, তারা বিকেলে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুরীর পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট কেভি সিংয়ের সঙ্গেও দেখা করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যখন ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়, তখন তাঁর মুখ সম্পূর্ণ কালো ছিল। মনে করা হচ্ছে, অ্যাসিড জাতীয় কোনও কেমিক্যাল দিয়েই যুবতীর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে দেহ শনাক্ত না করা যায়। ওই যুবতীর হাতের কয়েকটি আঙুলও নেই। হয়তো ওই আঙুল কেটে নেওয়া হয়েছে বা সামুদ্রিক প্রাণী আঙুল খেয়ে নিয়েছে।

মৃত যুবতীর বাবার দাবি, মেয়ের দেহ দেখে যাতে শনাক্ত না করা যায়, তার জন্যই অ্যাসিড দিয়ে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যুবতীর পিঠেও কালো চিহ্ন রয়েছে। মেয়ের কানের দুল, সোনার নথ ও হাতে লাল সুতো, পায়ের কালো সুতো দেখেই দেহ শনাক্ত করেন তিনি।  সারা দেহে একাধিক কাটা চিহ্ন ছিল।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।