Jharkhand Crisis: তুঙ্গে রিসর্ট রাজনীতি, বিধায়কদের পর এবার দুই মন্ত্রীকেও ভিন রাজ্যের রিসর্টে পাঠালেন সোরেন
Jharkhand Crisis: সংবিধানের বিধিভঙ্গের কারণে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করা হতে পারে, এই জল্পনা বিগত দুই সপ্তাহ ধরেই তৈরি হয়েছে।
রাঁচী: তুঙ্গে ঝাড়খণ্ডের রিসর্ট রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গদি নিয়ে টানাটানি শুরু হতেই ‘বিধায়ক চুরি’র আশঙ্কাতেও ভুগছে ঝাড়খণ্ডের শাসক জোট ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস। গত সপ্তাহেই তড়িঘড়ি বিধায়কদের ঝাড়খণ্ড থেকে পার্শ্ববর্তী কংগ্রেস শাসিত রাজ্য ছত্তীসগঢ়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেরই একটি বিলাসবহুল রিসর্টে রাখা হয়েছে ৩২ জন বিধায়ককে। এবার সেই তালিকায় সংযোজিত হল আরও দুটি নাম। ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তা ও কৃষিমন্ত্রী বাদল পত্রলেখ-কেও শুক্রবার ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে পাঠানো হয়। বাকি বিধায়কদের সঙ্গে তাঁরাও আপাতত মেফেয়ার হোটেলে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
সংবিধানের বিধিভঙ্গের কারণে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করা হতে পারে, এই জল্পনা বিগত দুই সপ্তাহ ধরেই তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহেই রাজ্যের রাজ্যপাল রমেশ বইসের কাছে একটি চিঠি পাঠায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ওই মুখ বন্ধ খাম এখনও খোলা হয়নি। ওই খামের ভিতরেই হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ থাকবে কিনা, তার উত্তর লুকিয়ে রয়েছে বলে দাবি। এদিকে, রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেই দল ভাঙিয়ে বিধায়কদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করতে পারে বিজেপি, এই অভিযোগেই রিসর্ট রাজনীতির অংশ হয়েছে জেজেএম ও কংগ্রেস। গত ৩০ অগস্টই ৩২ জন বিধায়ককে প্রতিবেশী রাজ্য ছত্তীসগঢ়ে স্থানান্তরিত করা হয়।
শুক্রবার জানা যায়, ওই রিসর্টে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার আরও দুইজন প্রতিনিধি এসে পৌছেছেন। দলবদলের আশঙ্কায় রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তা ও কৃষিমন্ত্রী বাদল পত্রলেখকেও ঝাড়খণ্ড থেকে ছত্তীসগঢ়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাকি বিধায়কদের সঙ্গেই তারা আপাতত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
যে রিসর্টে বিধায়করা রয়েছেন, সেখানে তাদের জন্য একাধিক বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে কোনও বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারেন, তার জন্য তাদের ফোন নিয়ে নেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সকলকে আলাদা ফোন দেওয়া হয়েছে।