দেশ: মুম্বইয়ে প্রমোদতরীতে মাদককাণ্ডে (Mumbai Cruise Drug Case) শুরু হয়েছে পাল্টা দোষারোপের পালা। গ্রেফতারির আগেই মুম্বই মাদককাণ্ডে এনসিবি(NCB)-র অন্য়তম সাক্ষী কিরণ গোসাভি (Kiran Gosavi)। এর মধ্যেই সেই গোসাভির বিরুদ্ধে যোগ হল আরও দুটি মামলা।
মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক উদ্ধার ও আরিয়ান খান(Aryan Khan)-র গ্রেফতারি নিয়ে ক্রমশ জলঘোলা বাড়ছে। আরিয়ান খানের সঙ্গে সেলফি তুলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন যিনি সেই কিরণ গোসাভি পড়ললেন আরও বিপদে। গোসাভির দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল কয়েকদিন আগেই দাবি করেছেন, তিনি কিরণ গোসাভিকে ফোনে কথা বলতে শুনেছিলেন যে শাহরুখপুত্রের জামিনের জন্য ২৫ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা চলছে। পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে কিরণ গোসাভি দাবি করেন যে, প্রভাকর সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছে। আর তার মধ্যেই সংশ্লিষ্ট মামলায় এল আরেক মোড়। বৃহস্পতিবার পুনে সিটি পুলিশ মুম্বই প্রমোদতরী ড্রাগস মামলায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) সাক্ষী কিরণ গোসাভির বিরুদ্ধে আরও দুটি অভিযোগ আনল। ২০১৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ফরাসখানা থানায় দায়ের হয় একটি অভিযোগ। সেই মামলা পুনরায় শুরু করল তারা।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “বেশ কয়েকটি নথি জাল করা এবং একাধিক জায়গায় তার ব্যবহার করার অভিযোগে গোসাভির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫ (জালিয়াতি) এবং ৪৬৮ ধারা (প্রতারণা) মামলা যুক্ত করা হয়েছে।”
এর আগে কিরণ গোসাভির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৪১৯, ৪২০ ধারায় ইন্টেলেকচুয়াল টেকনোলজি (আইটি) আইনের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আপাতত প্রতারণার অভিযোগে পুনে সিটি পুলিশের হাতে আটক গোসাভি। ১৮ লাখ টাকা প্রতারণার মামলায় গত বৃহস্পতিবার কটরাজ থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। তার পর কিরণকে ৮ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে নগর আদালত। আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকবেন তিনি। এছাড়া ১৮ অক্টোবর পালঘরে একটি প্রতারণার মামলাতেও কিরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
আরিয়ান খানের সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন কিরণ গোসাভি। তাঁর খোঁজে একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু হতেই, তিনদিন আগেই গোসাভি নিজেই জানিয়েছিলেন যে, উত্তর প্রদেশের লখনউতে তিনি কোনও একটি থানায় আত্মসমর্পণ করবেন। পরে অবশ্য তিনি দাবি করেন, একটি থানায় আত্মসমর্পণ করতে গেলেও পুলিশ থানার বাইরেই তাঁকে বাধা দিয়েছে, সেই কারণে তিনি আত্মসমর্পণ করতে পারেননি।
উল্লেখ্য, মাদককাণ্ডে ফেঁসে দীর্ঘ ২৫ দিন মুম্বইয়ের আর্থার রোডের জেলে কাটানোর পর বৃহস্পতিবার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান জামিন পান। এদিকে প্রমোদতরীতে যে মাদকের আসর বসবে, তা নাকি জানা গিয়েছিল আগে থেকেই। এনসিবি (NCB)-কে এই মাদক পার্টির খবর দিয়েছিলেন মণীশ ভানুশালী নামে এক বিজেপি কর্মী(BJP Worker)। সেই ব্য়ক্তিকেই হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন জারি করল মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে পুলিশ।