Bengaluru Flood: বেঙ্গালুরুতে বন্যা পরিস্থিতি ৩ দিনে পা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, জলের সংকট মারাত্মক আকারে
Karnataka: কর্নাটকের রাজধানীর নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
বেঙ্গালুরু: বেঙ্গালুরুতে অতিবৃষ্টির কারণে জমে থাকা জল সেখানকার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়াচ্ছে। ক্রমশ বেড়ে ওঠা শহরে অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে এই পরিস্থিতি বলে মনে করছেন অনেকে। কর্নাটকের রাজধানীর নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। বেঙ্গালুরুতে তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতির ৫টি গুরুত্বপূর্ণ দিক এক নজরে দেখে নেওয়া যাক…
- কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে রাজ্য সরকারের তরফে ৩০০ কোটি টাকার আপৎকালীন তহবিল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ৩০০ কোটি টাকা রাজ্যের অন্যান্য জেলা গুলির বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাজ্য সরকার খরচ করবে।
- বেঙ্গালুরুর বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন থাকার কারণে শহরের স্কুল কলেজ সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অফিস তথা অন্যান্য কর্মস্থল খোলা থাকার কারণে নিত্যযাত্রীদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। অনেককে ট্র্যাক্টরের চেপে অফিসে যেতে দেখা গিয়েছে।
- বেঙ্গালুরুর বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গিয়েছে। মান্ডিয়ার পাম্প হাউজ জলে ভেসে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন পাম্প হাউজ পরিষ্কার করা হবে। বোম্মাই জানিয়েছেন, রাজ্যের যেসব এলাকায় পানীয় জলের সংকট দেখা গিয়েছে, সেখানে ৮০০০ বোরওয়েলের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। যে এলাকায় কোনও বোরওয়েল নেই, সেখানে জলের ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে।
- দেশের অন্যতম সেরা তথ্য-প্রযুক্তি কেন্দ্রে একই সপ্তাহে দু’বার বন্যার জলে ভেসে যাওয়ার কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ৫০০ টি ড্রেনের ওপর বেআইনি দখলদারির কারণে নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।
- মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বন্যার কারণে রাজ্যের মোট ৪৩০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ২,১৮৮টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ২২৫ কিলোমিটার রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট ও ইলেকট্রিকের খুঁটি বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।