নয়া দিল্লি: স্বাধীনতার প্রাক্কালে শেষবার দেখা গিয়েছিল তাঁদের, মহারাজ রামানুজ প্রতাপ সিংয়ের শিকারের শখপূরণে প্রাণ হারিয়েছেন দেশের সর্বশেষ তিনটি এশিয়াটিক চিতা(Asiatic Cheetah)-র। ১৯ ৫২ সালেই ভারত সরকারের তরফে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় চিতাকে। ৭০ বছর অপেক্ষার পর ভারতে আবার দেখা মিলবে চিতার। সুদূর আফ্রিকা থেকে আসবে চিতা। বন আধিকারিক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ দিতে আগামী সপ্তাহেই দেশে আসছেন নামিবিয়া (Namibia) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) থেকে দুটি বিশেষজ্ঞ দল।
২০০৯ সালেই আফ্রিকা থেকে চিতাবাঘ আনার প্রক্রিয়া শুরু হলেও এতদিন সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)-র অনুমতি না মেলায় সেই কাজ আটকে ছিল। গতবছরই শীর্ষ আদালত ভিন মহাদেশ থেকে চিতা আনায় সবুজ সংকেত দেয়। এই প্রথম এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে বন্যপ্রাণীর স্থানান্তরিত করা হবে। ইতিমধ্যেই পরিবেশ মন্ত্রক, ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া, এনটিসিএ ও কেন্দ্রের অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা আফ্রিকা থেকে আনা চিতাগুলিকে কোথায় রাখা হবে, সেই বিষয়ে বৈঠক করেছেন।
২০১০ সালেই রাজস্থানের মুকুন্দারা হিল টাইগার রিজার্ভ ও শেরগড় বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং মধ্য প্রদেশের গান্ধীনগর অভয়ারণ্য, কুনো জাতীয় উদ্যান, মাধব জাতীয় উদ্যান ও নৌরাদেহী অভয়ারণ্যকে চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র মিলতেই ফের একবার এই অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যানগুলিতে সমীক্ষা চালানো হয়। এরপরই কুনো জাতীয় উদ্যান(Kuno National Park)-কেই বেছে নেওয়া হয়। এই জাতীয় উদ্যানে এশিয়াটিক সিংহ রাখার জন্যও চিহ্নিতকরণ করা হয়েছিল। সিংহের স্থানান্তকরণে এখনও ছাড়পত্র না মিললেও আগামিদিনে কুনো জাতীয় উদ্যানে দেখা মিলতে চলেছে ৩৫ থেকে ৪০টি আফ্রিকার চিতার।
আরও পড়ুন: দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পার করল ৪৩ হাজারের গণ্ডি, লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও